ডুয়ার্সের জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে গিয়েছে রেলপথ। সেই রেললাইনের উপর মাঝেমধ্যেই উঠে আসে হাতির দল। আর যদি সামনে এসে যায় ট্রেন, তখনই বিপদ। জঙ্গলের রেললাইনে ট্রেনের ধাক্কায় হাতি মৃত্যুর ঘটনা হয়েছে একাধিকবার। এদিকে হাতি যাতে রেললাইনের উপরে না আসে সেকারণে নানা উপায় বের করে রেল। এমনকী মৌমাছির গুনগুন আওয়াজও রেকর্ডিং করে শোনানো হয়েছে। কিন্তু তাতেও বিশেষ কাজ দেয়নি। এবার হাতিদের রেললাইনে আসা রুখতে সত্যিকারের মৌমাছি পোষার কথা ভাবছে রেল।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ঝাঁকে ঝাঁকে মৌমাছিদের সচরাচর এড়িয়ে চলে হাতির দল। জঙ্গল লাগোয়া বিভিন্ন গ্রামে মৌমাছি প্রতিপালন করে হাতির আনাগোনা কিছুটা আটকানো গিয়েছে। আলিপুরদুয়ার জেলার নুরপুর, বানিয়াগাঁও সহ বিভিন্ন গ্রামে শুরু হয়েছে মৌমাছি প্রতিপালন। এতে এক ঢিলে দুই পাখি মারা যাচ্ছে। একদিকে হাতি তাড়ানো যাচ্ছে। অন্য়দিকে মধু থেকে আয় হচ্ছে। আর এই বিশেষ পদ্ধতিকেই এবার কাজে লাগাতে চাইছে উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলের আলিপুরদুয়ার ডিভিশন।
প্রাথমিকভাবে এনিয়ে ভাবনাচিন্তা শুরু হয়েছে। রেললাইনের ধারে যদি মৌমাছি পোষা যায় তবে হাতির দল কাছে ঘেঁষবে না। তবে সেটা আদৌ কতটা সম্ভব সেটাও ভেবে দেখছে রেল কর্তৃপক্ষ। নুরপুরে মৌমাছি দিয়ে হাতি আটকানোর কথা কানে গিয়েছে রেলের। এনিয়ে গ্রামবাসীদের সঙ্গেও কথা বলবে রেল। উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেল সূত্রে খবর,লাইনের ধারে মৌমাছির বাক্স বসিয়ে কাজ কতটা হবে সেটাও দেখা হবে।