আরজি কর হাসপাতালের ঘটনার পর যখন রাজপথে আন্দোলনে নেমেছিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা তখন থ্রেট কালচার বা হুমকি সংস্কৃতির তত্ত্ব সামনে নিয়ে এসেছিল। যা নিয়ে ব্যাপক শোরগোল পড়ে যায়। এবার উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে থ্রেট কালচার চালানোর অভিযোগ উঠেছে। যা নিয়ে এখন ব্যাপক আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। কারণ বিষয়টি থানা পর্যন্ত গড়িয়েছে। আর এই অভিযোগ নিয়ে থানায় গিয়েছেন একজন ছাত্রী। তার জেরে বিষয়টি আরও গুরুত্ব পেয়েছে। এমনটা যে আবার ঘটবে তা কেউ কল্পনাও করেননি।
এদিকে দ্বিতীয় বর্ষের এক পড়ুয়ার বিরুদ্ধে থ্রেট কালচার এবং র্যাগিং করার অভিযোগ করেছেন ফিজিক্যাল মেডিসিন ও রিহ্যাবিলিটেশন (পিএমআর) বিভাগের ডিপ্লোমা ইন ফিজিওথেরাপির কোর্সের প্রথম বর্ষের ছাত্রী। এই ছাত্রীকে থ্রেট কালচারের সম্মুখীন হতে হয়েছে বলে অভিযোগ। ওই ছাত্রীকে অশ্লীল র্যাগিং করা হয়েছে বলেও থানায় অভিযোগ করেছেন। যা নিয়ে এখন চিকিৎসক মহলে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। আর তারপরই অ্যান্টি র্যাগিং কমিটি গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখতে নেমে পড়েছে। ক্ষোভ বাড়তে শুরু করেছে অনেকের।
আরও পড়ুন: স্বরূপনগরে গ্রেফতার দুই অনুপ্রবেশকারী, অবৈধ পথ ধরে বাংলাদেশে যাচ্ছিল, চলছে জেরা
এদিকে এই অভিযোগের বিষয়টি সামনে আসতেই নড়েচড়ে বসে মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ। আর তারপর এই বিষয়টি নিয়ে বৈঠকে বসে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের অ্যান্টি র্যাগিং কমিটি। ওই কমিটির সিদ্ধান্ত মেনে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল ফাঁড়িতে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই ছাত্রী। ফলে গোটা ঘটনা প্রকাশ্যে এসে পড়েছে। এই গোটা বিষয়টি নিয়ে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ইন্দ্রজিৎ সাহা বলেন, ‘অভিযোগ পাওয়ার পর থেকে সক্রিয় ভূমিকা নিয়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। অ্যান্টি র্যাগিং কমিটি বৈঠক করেছে।’
অন্যদিকে এই ঘটনার তদন্ত করে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পিএমআর বিভাগ থেকে পিকনিকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সে কথা সকলকে জানানোও হয়। কিন্তু ওই পিকনিকে যেতে চাননি প্রথম বর্ষের ছাত্রী। তারপর থেকে দ্বিতীয় বর্ষের এক পড়ুয়া ক্রমাগত ওই প্রথম বর্ষের ছাত্রীকে হুমকি দিতে শুরু করে বলে অভিযোগ। অশ্লীল র্যাগিং পর্যন্ত করা হয়েছে বলে ছাত্রীর অভিযোগ। ফোন, হোয়াটসঅ্যাপে এবং সামনে দেখা হলেই হুমকি দেওয়া হচ্ছিল বলে অভিযোগ। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে ওই ছাত্রী বিভাগীয় প্রধান এবং কলেজের অধ্যক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ জমা দেন। অ্যান্টি র্যাগিং কমিটির বৈঠকে অভিযোগকারী ছাত্রীর বক্তব্য পর্যন্ত শোনা হয় বলে সূত্রের খবর। অভিযুক্ত পড়ুয়া অনুপস্থিত ছিল। পুলিশ সূত্রে খবর, এই ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। উপযুক্ত পদক্ষেপ করা হবে।