দুর্গাপুজোর মুখে আবার বন্ধ হয়ে গেল শিলিগুড়ি–সিকিম লাইফলাইন ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। এতে জোর ধাক্কা খেলো পর্যটন ব্যবসায়ীরা। বর্ষার আগে থেকে মাঝেমধ্যেই বৃষ্টি হওয়ার দরুণ ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের একাধিক জায়গা ধসে বিধ্বস্ত হয়ে পড়ে। ফলে বন্ধ করে দিতে হয় এই পথ। মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে যান চলাচল শুরু হওয়ার পর বিকেলে বৃষ্টি নামে মুষলধারায়। তার জেরেই রাতেই রাস্তাটি এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছিল জেলা প্রশাসন। ওই পরামর্শ ছিল অশনি সংকেত। যা বুধবার বাস্তবে পরিণত হয়েছে। আজ, বুধবার দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ারে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে সিকিমের কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতর। ওই তিন জেলায় জারি করা হয়েছে হলুদ সতর্কতা।
আজ সকালে কয়েক ঘণ্টা গাড়ি চলাচল করার পরই রাস্তাটি বন্ধ করে দেওয়া হয় কালিম্পং জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে। এই বন্ধ করে দেওয়ার কারণ হচ্ছে ২৮ মাইলে ধস নেমেছে। আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, আজ সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় কালিম্পংয়ে ৬৮ এবং দার্জিলিংয়ে ১৪২ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। যার জন্য তিস্তায় জল বেড়ে গিয়েছে। প্রবল বর্ষণে ব্যাপক ধস নেমেছে বলে মনে করা হচ্ছে। এই পূর্বাভাস অনুযায়ী, বুধবার এবং বৃহস্পতিবার ভারী বৃষ্টি হবে পাহাড়ে। তার ফলে জাতীয় সড়কটির ভবিষ্যৎ নিয়ে ক্রমশই ভয় বাড়তে শুরু করেছে। সম্প্রতি তিস্তার জলে এই সড়কের একাংশ ধসে গিয়েছিল। তার জেরে রাস্তা বন্ধ করে শুরু হয় মেরামতির কাজ। কিন্তু আবার শুরু হয়েছে বৃষ্টি।
আরও পড়ুন: বাড়িতে ঢুকে অন্তঃসত্ত্বাকে মারধর বিজেপির, নন্দীগ্রামে আক্রান্ত দুই মহিলা, গ্রেফতার ৫
দুর্গাপুজোয় দার্জিলিং, ডুয়ার্স–সহ উত্তরবঙ্গের নানা জায়গায় পর্যটকের ঢল নামছে। যার ফলস্বরূপ টান পড়েছে টিকিটে। পর্যটকদের চাপ সামলাতে বাড়তি ট্রেন দিচ্ছে রেল। অক্টোবর ও নভেম্বর মাসজুড়ে ৯টি বিশেষ দুর্গাপুজো স্পেশ্যাল ট্রেন চালাবে শিয়ালদা ডিভিশন। কিন্তু পরিস্থিতি যেদিকে যাচ্ছে তাতে উত্তরবঙ্গে এসে ঘোরাঘুরি মাটি হয়ে যাবে। এমনটাই মনে করছেন বহু পর্যটক। ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক কবে খুলবে? তা নিয়ে কোনও নিশ্চয়তা মেলেনি প্রশাসনের তরফে। উত্তরবঙ্গের ক্ষেত্রে এটাই গুরুত্বপূর্ণ লাইফলাইন।
১০ নম্বর জাতীয় সড়কের ২৮ মাইল এলাকায় ধস নেমে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এই ধসের জেরে রাস্তাটি বন্ধ করে দেওয়া হয় কালিম্পং জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে। গতকাল মঙ্গলবারের প্রবল বর্ষণে ধস নেমেছে বলে মনে করা হচ্ছে। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, বুধবার এবং বৃহস্পতিবার ভারী বৃষ্টি হবে পাহাড়ে। ফলে জাতীয় সড়কটির ভবিষ্যৎ নিয়ে ক্রমশই আতঙ্ক বাড়ছে। যার ফলে পর্যটন ব্যবসায় প্রভাব পড়ার আশঙ্কায় দিন গুনছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা। এই বিষয়ে আবহাওয়া দফতরের সিকিমের কেন্দ্রীয় অধিকর্তা গোপীনাথ রাহা বলেন, ‘বুধবার ও বৃহস্পতিবার কয়েকটি এলাকায় বৃষ্টির তীব্রতা বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। বৃহস্পতিবার ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং এবং আলিপুরদুয়ারে। এই জেলাগুলিতে তাপমাত্রা আরও কমবে।’