প্যাঙ্গোলিন পাচারের বড় ছক বানচাল করে দিল এসএসবি। শিলিগুড়ির নকশালবাড়ি এলাকা থেকে এসএসবি ওই প্যাঙ্গোলিন উদ্ধার করেছে। একটি খাঁচাতে ভরে এই প্যাঙ্গোলিন পাচারের চেষ্টা হচ্ছিল। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে হানা দেয় এসএসবি। SSB'র ৪১ নম্বর ব্যাটেলিয়নের জওয়ান ও অফিসাররা এই অভিযানে অংশ নেন। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে এটি নেপালে পাচারের চেষ্টা চলছিল। মেচি নদী পেরিয়ে এটি নেপালে পাঠানো হত। সেখান থেকে অন্য কোনও দেশে এটি পাঠানো হত কি না সেটাও দেখা হচ্ছে। এটি সম্ভবত অসমের বারোবিশা এলাকা থেকে নিয়ে আসা হয়েছিল। বনদফতর সূত্রে খবর, উত্তরপূর্বের বনাঞ্চলে এই ধরনের প্যাঙ্গোলিনের খোঁজ মেলে। এগুলি চিনা প্যাঙ্গোলিন বলেও পরিচিত।
এদিকে এই ঘটনায় চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের নাম ফিরোজ খান, ঝরিয়া হেমব্রম, ইক্রামুল হক ও অমিত বসুমাতা। ধৃতরা আলিপুরদুয়ার ও দুই দিনাজপুরের বাসিন্দা। সূত্রের খবর, একটি গাড়িতে চাপিয়ে প্যাঙ্গোলিনটি পাচার করার চেষ্টা করা হচ্ছিল। তবে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সেই গাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়। তখনই এটি উদ্ধার করা হয়।
কিন্তু কেন প্যাঙ্গোলিন পাচার করা হয়? সূত্রের খবর, চিন ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে এই প্যাঙ্গেোলিনের আঁশের কদর রয়েছে। প্রচলিত বিশ্বাস অনুসারে কিছু টোটকা ওষুধ তৈরির জন্য প্যাঙ্গোলিনের আঁশ ব্যবহার করা হয়। সেকারণেই পাচারের অন্যতম উপকরণ হয়ে উঠেছে প্যাঙ্গোলিন। এগুলি মোটা টাকায় হাতবদল হয়ে যায়। এর আগে শিলিগুড়িতে প্যাঙ্গোলিনের আঁশ সহ ভিনরাজ্যের দুষ্কৃতীদেরও গ্রেফতার করা হয়েছিল।