মুকুল রায়–তন্ময় ঘোষ–বিশ্বজিৎ দাস। পরপর উইকেট পড়ে গিয়েছে বিজেপি বিধায়কের। এখনই রাশ না ধরলে তা তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়বে বলে আশঙ্কা করছে বঙ্গ–বিজেপি নেতৃত্ব। দলবদলের জেরে বনগাঁয় ভাঙনের আশঙ্কা করা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে তড়িঘড়ি সাধারণ সম্পাদক অমিতাভ চক্রবর্তী এবং দিলীপ ঘোষের সঙ্গে বৈঠক করেই বনগাঁ ছুটলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
২০১৯ সালে মুকুল রায়ের হাত ধরে বিজেপিতে গিয়েছিলেন বিশ্বজিৎ দাস। তিনি দু’বার তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিটে বিধায়ক হয়েছিলেন। আর বিশ্বজিৎ উত্তর ২৪ পরগণার জনপ্রিয় মুখ। তাই এখানের সংগঠন আরও ভাঙতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ মুকুলের পথ ধরেই তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরে এসেছেন তিনি। আর বিজেপিকে হুঙ্কার দিয়েছেন, উত্তর ২৪ পরগণায় আরও ধস নামবে। এরপরই ঘুম উড়ে গিয়েছে বিজেপির। কারণ এই হারে যদি বিধায়ক কমতে থাকে তাহলে যেটুকু আন্দোলন করা হচ্ছে তাও করা যাবে না। এখন সংগঠনও ধাক্কা খেয়েছে।
পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী, আজ ১ সেপ্টেম্বর উত্তরবঙ্গে যাবেন শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর বৈঠক করার কথা ছিল ২৯ জন বিধায়কের সঙ্গে। এমনকী সাংসদদের সঙ্গে বসতে পারেন তিনি বলেও ঠিক হয়েছিল। কিন্তু বিশ্বজিত দাসের এই আকস্মিক দলবদল করায় সব পরিকল্পনা ঘেঁটে যায়। তাই সব সফরসূচি বদল করে জেলায় ছুটেছেন শুভেন্দু অধিকারী।
শুভেন্দু অধিকারী উত্তর ২৪ পরগণায় গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করবেন। আর আজ উত্তরবঙ্গে যাচ্ছেন বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব। সেখানে বিজেপি বিধায়ক ও সাংসদের নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ সাংগঠনিক বৈঠকে থাকবেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী জন বার্লা, দার্জিলিংয়ের সাংসদ রাজু বিস্তা এবং রাজ্যের সাধারণ সম্পাদক অমিতাভ চক্রবর্তী। কিন্তু তাঁদের মাথাতেও চিন্তা থেকেই যাচ্ছে বিধায়করা তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরতে শুরু করেছেন বলে। এখন প্রশ্ন উঠছে, শুভেন্দু অধিকারী সেখানে গিয়ে বৈঠক করলেও ড্যামেজ কন্ট্রোল কী করা যাবে?