কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের পিছনে মালগাড়ি ধাক্কা মারার জেরে ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে যায় উত্তরবঙ্গে। তাতে প্রায় ১২ জনের প্রাণ গিয়েছে বলে খবর। এই ঘটনার পর থেকে যাত্রী সাধারণের মনে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। ভ্রমণপিপাসু মানুষেরা এখন ভয় পাচ্ছেন উত্তরবঙ্গ যেতে। কারণ আবার যদি ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটে! এই আবহে উত্তরবঙ্গ সফরে আগ্রহী পর্যটকদের জন্য দারুণ সুখবর নিয়ে এল ভারতীয় রেল। মানুষের মনে থাকা ভয়, আতঙ্ক কাটাতে বাড়ানো হল স্পেশাল ট্রেনের মেয়াদ। কোনও একটা দুর্ঘটনার জন্য কি জীবন থেমে থাকবে? এমন প্রশ্নও অনেকের মনে উঠছে।
এই আতঙ্কের পরিবেশ কাটাতে স্পেশাল ট্রেন বাড়ানো হলে সবচেয়ে বেশি লাভ সরাসরি পাবেন এনজেপিগামী পর্যটকরা। এখন থেকে সারা বছর নানা সময়ে শৈলশহরের সাক্ষী থাকতে যেতে পারবেন যাত্রীরা। উত্তরবঙ্গে দুর্গাপুজোর সময়ও অনেকে যান। আবার শীতের মরশুমে বরফ দেখতে, কাঞ্চনজঙ্ঘা পাহাড়ের অপূর্ব সৌন্দর্য দেখতে যান ভ্রমণপিপাসুরা। আর তাই উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলের পক্ষ থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। যেখানে স্পেশাল ট্রেন চালানোর মেয়াদ বৃদ্ধির কথা জানানো হয়েছে। আর গুয়াহাটি–শ্রী গঙ্গানগর, শ্রী গঙ্গানগর–গুয়াহাটি, ডিব্রুগড়–কলকাতা, কলকাতা–ডিব্রুগড়, শিলচর–কলকাতা এবং কলকাতা–শিলচর রুটে চলা স্পেশাল ট্রেনগুলির মেয়াদ বৃদ্ধি করার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘প্রয়োজনে আমরা সেবি’র বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যাব’, শেয়ার বাজারের দুর্নীতি নিয়ে সরব গোখলে
জুন মাসের মর্মান্তিক ট্রেন দুর্ঘটনার ছাপ যেন ভ্রমণপিপাসু মানুষের মনে না পড়ে সেই চিন্তাও করেছে রেল। উত্তর–পূর্ব সীমান্ত রেলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, অতিরিক্ত ভিড় সামলাতেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তাই ট্রেনগুলি আগের টাইম টেবিল, স্টপেজ মেনেই চলবে। সবকটি ট্রেনই আগে জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত চালানোর বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছিল। সেই সীমাকেই বাড়িয়েই ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত করেছে উত্তর–পূর্ব সীমান্ত রেল। তাতে দুর্গাপুজোর পাশাপাশি বড়দিনের ভিড় সামাল দেওয়া সম্ভব হবে। বিপুল পরিমাণ যাত্রীরা সহজেই টিকিট বুকিং করতে পারবেন। তাতে রেলেরও আয় বাড়বে।
এই ট্রেনের তালিকায় রয়েছে—নিউ আলিপুরদয়ার শিয়ালদা পদাতিক এক্সপ্রেস, গুয়াহাটি–হাওড়া সরাইঘাট এক্সপ্রেস, ডিব্রুগড় নয়াদিল্লি রাজধানী এক্সপ্রেস এবং ডিব্রুগড় সেকেন্দ্রাবাদ স্পেশাল ট্রেন। সেক্ষেত্রে শুধুমাত্র স্পেশাল ট্রেনের মেয়াদ বৃদ্ধি করাই নয়। ১৯ জুনের কয়েকটি ট্রেনের সময়ের ক্ষেত্রেও বদল আনা হয়েছে উত্তর–পূর্ব সীমান্ত রেলের পক্ষ থেকে। ফলে একবার চোখ বুলিয়ে বেরিয়ে পড়া যেতেই পারে। বিশেষ করে যাঁদের পায়ের তলায় সরষে লাগানো তাঁরা খোঁজ নিয়ে বেড়াতে যেতেই পারেন।