আবার এক বিজেপি বিধায়কের উইকেট পড়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। কারণ তিনি বেসুরো গেয়ে উঠেছেন। মঙ্গলবার কালিয়াগঞ্জের বিধায়ক সৌমেন রায় যোগ দিয়েছেন তৃণমূলে কংগ্রেসে। সেদিনই সৌমেনবাবু দাবি করেছিলেন, উইকেট আরও পড়বে। দাবির পরপরই যেন উইকেট পতনের ঘনঘটা। অঙ্ক বলছে এই উইকেট পড়লে বিধায়ক সংখ্যা দাঁড়াবে ৭০। উত্তর দিনাজপুরের বিজেপি বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণীও দলবদল করছেন বলে গুঞ্জন শুরু হয়েছে। তাঁর বিজেপি ছাড়া স্রেফ সময়ের অপেক্ষা। কারণ রায়গঞ্জের বিধায়ক জানিয়ে দিয়েছেন, বিজেপির আর কোনও কর্মসূচিতে তাঁকে পাওয়া যাবে না।
রায়গঞ্জের বিজেপি বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণীর ঘোষণা, রবিবার থেকে জেলা কমিটির কোনও কর্মসূচিতে আর উপস্থিত থাকবেন না তিনি। কিন্তু কেন? তাঁর অভিযোগ, জেলা সভাপতি বাসুদেব সরকার ষড়যন্ত্র করছে তাঁর বিরুদ্ধে। রাজ্য নেতৃত্বকে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। এমনকী রায়গঞ্জের বিজেপি বিধায়ক তোপ দেগেছেন রায়গঞ্জের বিজেপি সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরীর বিরুদ্ধেও। তাঁর দাবি, সাংসদকে রায়গঞ্জের মানুষ এলাকায় পান না। অর্থাৎ চরমে গোষ্ঠীকোন্দল।
এই বিষয়টি নিয়ে মুখ খোলেন রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, ‘এটা বিজেপির পদ্ধতি নয়। কাঙ্খিতও নয়। উনি এটা ঠিক করছেন না।’ শমীকবাবু এই কথা বললেও রবিবার রায়গঞ্জের বিজেপি বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে বলেন, ‘আজ থেকে জেলা কমিটির কোনও দলীয় কর্মসূচিতে থাকব না। কারণ রাজ্য নেতৃত্বের কাছে জেলা সভাপতির কাজকর্ম নিয়ে একাধিকবার অভিযোগ জানানো হলেও কোনও ফল হয়নি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথ প্রামানিকের রায়গঞ্জে শহিদ সম্মান যাত্রার কর্মসুচিতে দলের পক্ষ থেকে পুলিশের কাছে কোনও অনুমতি না নেওয়ায় সেই কর্মসুচিতে বাধা দেয় পুলিশ। এটা ষড়যন্ত্র।’ বাসুদেব সরকারকে নিয়েই সমস্যা সেটা পরিষ্কার।
এই বিষয়ে বিধায়ক আরও বলেন, ‘রাজনীতিতে এসেছি সম্মান পাওয়ার জন্য। অসম্মানিত হলে সেখানে কেন থাকব?’ তাহলে কী তৃণমূল কংগ্রেস যোগাযোগ করেছে? তিনি জানান, তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়নি। আর বাসুদেব সরকার বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলতে চাননি। এখন দেখার সেষ পর্যন্ত জল কতদূর গড়ায়।