এবার ভিস্তাডোম ট্যুরিস্ট স্পেশাল ট্রেনটিকে কোচবিহার পর্যন্ত চালাতে চায় রেল। এই সিদ্ধান্তে পর্যটকরা বেশ খুশি। কারণ ওই বিলাসবহুল কোচে ডুয়ার্স ভ্রমণের আগ্রহ বাড়ছে পর্যটকদের। তাই ডুয়ার্স রুটে এনজেপি থেকে আলিপুরদুয়ার পর্যন্ত ভিস্তাডোম কোচে টিকিটের চাহিদাও প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাড়তি ব্যবসা এবং পর্যটন দুটি বিষয়কে একসারিতে নিয়ে আসতেই এই পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে।
কতটা সম্প্রসারণ করতে চায় রেল? রেল সূত্রে খবর, দেশ–বিদেশের পর্যটকদের এই ভিড় ও আগ্রহ দেখে এই ট্রেনটির রুট সম্প্রসারণ করার কথা ভাবা হয়েছে। ভিস্তাডোম ট্যুরিস্ট স্পেশাল ট্রেনটিকে আলিপুরদুয়ার জংশন থেকে নিউ কোচবিহার স্টেশন পর্যন্ত সম্প্রসারিত করার জন্য রেল বোর্ডে প্রস্তাব পাঠিয়েছে উত্তর–পূর্ব সীমান্ত রেল কর্তৃপক্ষ। ভিস্তাডোম ট্যুরিস্ট স্পেশালের সংরক্ষিত কোচগুলিতে মাথাপিছু ভাড়া ৮৪০ টাকা। ওই ট্রেনের অসংরক্ষিত সাধারণ কোচে মাথাপিছু ভাড়া ৩১০ টাকা।
আর কী জানা যাচ্ছে? এখন জয়গাঁ ও চামুর্চিতে ভুটান গেট খুলে গিয়েছে। বহু পর্যটক জয়গাঁ দিয়ে সড়ক পথে ভুটান বেড়াতে যাচ্ছেন। তাই ভিস্তাডোম ট্যুরিস্ট কোচে ডুয়ার্সের জঙ্গল, চা–বাগান, বনবস্তি এবং পাহাড়ি পথের বুক চিড়ে ভ্রমণের আগ্রহ বাড়ছে পর্যটকদের মধ্যে। রাজার শহর কোচবিহার। সেখানে রাজবাড়ি, মদনমোহন মন্দির, সাগরদিঘি–সহ নানা দর্শনীয় স্থান রয়েছে। তাই রেলের প্রস্তাব বাস্তবায়িত হলে ভিস্তাডোম কোচে ডুয়ার্স দিয়ে পর্যটকরা কোচবিহারে যেতে পারবেন।
ঠিক কী বক্তব্য রেল কর্তার? এই বিষয়ে উত্তর–পূর্ব সীমান্ত রেলে আলিপুরদুয়ার ডিভিশনের ভারপ্রাপ্ত ডিভিশনাল কমার্শিয়াল ম্যানেজার এস উমেশ বলেন, ‘ভিস্তাডোম ট্যুরিস্ট স্পেশাল ট্রেনটি এখন নিউ জলপাইগুড়ি থেকে আলিপুরদুয়ার জংশন পর্যন্ত চালানো হচ্ছে। এই ট্যুরিস্ট স্পেশাল ট্রেনে যথেষ্ট পর্যটকদের ভিড় দেখা যাচ্ছে। প্রত্যেকদিন প্রচুর টিকিট বিক্রি হচ্ছে। তাই ভিস্তাডোম ট্যুরিস্ট ট্রেনটিকে আলিপুরদুয়ার জংশন থেকে নিউ কোচবিহার পর্যন্ত চালানোর জন্য আমরা রেল বোর্ডে প্রস্তাব পাঠিয়েছি। তার জন্য পরিকাঠামোও প্রস্তুত। রেল বোর্ড সবুজ সঙ্কেত দিলেই ট্রেনটি নিউ কোচবিহার পর্যন্ত চলবে।’