নকশালবাড়িতে তৃণমূল কংগ্রেস নেতার বাড়ি থেকে ক্যালিফোর্নিয়াম উদ্ধার করা হয়নি। যেটি মিলেছে, সেটা ক্যালিফোর্নিয়ামের মতো দেখতে কোনও একটা পদার্থ। কিন্তু সেটি কোনওভাবেই ক্যালিফোর্নিয়াম নয়। আর তেজষ্ক্রিয় পদার্থ নয় বলেও পুলিশের তরফে দাবি করা হয়েছে। দার্জিলিঙের পুলিশ সুপার পারভিন প্রকাশ দাবি করেছেন, তৃণমূল নেতার বাড়িতে ভারতীয় সেনা এবং পুলিশ তল্লাশি চালিয়ে যে পদার্থ উদ্ধার করা হয়েছে, তা তেজষ্ক্রিয় ধাতু নয়। যদিও ওই তৃণমূল নেতাকে ক্লিনচিট দেওয়া হয়নি। বরং তিনি প্রতারণা চক্রের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বলে পুলিশের তরফে দাবি করা হয়েছে। পুলিশের দাবি, ওই তৃণমূল নেতার চক্রে কমপক্ষে তিন-চারজন আছে বলে অনুমান করা হচ্ছে। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। যে তৃণমূল নেতাকে বৃহস্পতিবার আদালতে তোলা হয়েছিল। তাঁর পাঁচদিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারক।
তৃণমূল নেতার বাড়িতে অভিযান সেনা ও পুলিশের
যে তৃণমূল নেতা ফ্রান্সিস এক্কাকে নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়, তাঁর বাড়ি থেকে গত মঙ্গলবার ওই পদার্থ উদ্ধার করা হয়। বাড়ি দার্জিলিঙের নকশালবাড়ির বেলগাছিতে। স্ত্রী অমৃতা আবার রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য। আর সেই ফ্রান্সিসের বাড়িতে মঙ্গলবার যৌথভাবে অভিযান চালায় ভারতীয় সেনা এবং পুলিশ।
তেজষ্ক্রিয় পদার্থ নয়, সামন এল রিপোর্ট
সেই অভিযানে ফ্রান্সিসের বাড়ি থেকে যে পদার্থ উদ্ধার করা হয়, তা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। সংশ্লিষ্ট দফতর থেকে রিপোর্ট আসে যে ফ্রান্সিসের বাড়ি থেকে পাওয়া পদার্থ কোনও তেজষ্ক্রিয় পদার্থ নয়। সেটি ক্যালিফোর্নিয়াম নয় বলেও ওই রিপোর্টে জানানো হয়। সেইসঙ্গে ফ্রান্সিসের বাড়ি থেকে যে নথি উদ্ধার করা হয়েছিল, তা ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট অর্গানাইজেশনের (ডিআরডিও) বলে অভিযোগ উঠেছিল। সেই নথি যাচাই করে দেখা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, পৃথিবীর অন্যকম মূল্যবান পদার্থগুলির মধ্যে একটি হল ক্যালিফোর্নিয়াম। এক গ্রাম ধাতুর দাম ১৭ কোটি টাকা থেকে ১৯ কোটি টাকা। পারমাণবিক গবেষণায় এই ধাতু ব্যবহার করা হয়। তেজষ্ক্রিয় ধাতু থেকে বিকিরিত রশ্মি কারও দেহে প্রবেশ করলে ক্যানস্যারে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।