বিধানসভা নির্বাচনের পর তৃণমূলের মুসলিম বিধায়কদের বিধানসভা থেকে চ্যাংদোলা করে রাস্তায় ছুড়ে ফেলা হবে। এই মন্তব্যের জন্য রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে FIR করলেন কংগ্রেস নেতা ভিক্টর ওরফে আলি ইমরান রামজ। বুধবার উত্তর দিনাজপুরের চাকুলিয়া থানায় শুভেন্দুবাবুর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। অভিযোগটি পুলিশ গ্রহণ করেছে বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন - মুসলিম তোষণ করতে হাইকোর্টেরও পরোয়া করেন না মমতা: শংকর ঘোষ
পড়তে থাকুন - শুভেন্দু কি এবার ভবানীপুরে দাঁড়াবেন? কী বলছেন সুকান্ত! 'মমতাকে হারাব'
বুধবার বিকেলে চাকুলিয়া থানায় গিয়ে বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে প্ররোচনামূলক বক্তব্য রাখা, উসকানি ও মুসলিম বিধায়কদের অপমান করার অভিযোগ করেন ভিক্টর। লিখিত FIR জমা দেন চাকুলিয়ার প্রাক্তন এই বিধায়ক। শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে FIR করার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরীও কিন্তু এখনও পদক্ষেপ করেননি তিনি।
মঙ্গলবার বিধানসভার বাইরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শুভেন্দুবাবু বলেন, ‘ওকে তো হারাবই। ২৬এর ভোটের পর তৃণমূলের মুসলিম বিধায়কগুলোকে চ্যাংদোলা করে রাস্তায় ছুড়ে ফেলব।’ বলে রাখি, মঙ্গলবার রাজ্যে বিভিন্ন জায়গায় হিন্দু মন্দিুরে ভাঙচুর, হিন্দুদের সম্পত্তিতে হামলা নিয়ে আলোচনা চেয়ে মুলতুবি প্রস্তাব আনতে চেয়েছিল বিজেপি। কিন্তু স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় সেই অনুমতি দেননি। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে বিধানসভা অভ্যন্তরে তুমুল বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বিজেপির মুখ্য সচেতক শংকর ঘোষ ও বিজেপি বিধায়ক মনোজ ওরাওঁ। এর পর স্পিকার মার্শাল ডেকে শংকরবাবু ও মনোজবাবুকে বিধানসভা থেক বার রে দেন। সঙ্গে স্লোগান দিতে দিতে বিধানসভা থেকে ওয়াক আউট করেন অন্য বিজেপি বিধায়করাও।
আরও পড়ুন - ‘বাবা-মা বাংলাদেশি হলেও আমি ভারতীয়!’ দাবি তৃণমূলের ‘আগুনে’ যুবনেতার
বিজেপি বিধায়করা বিধানসভার বাইরে বেরোলে তাদের সঙ্গে যোগ দেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। চলতি অধিবেশনে স্পিকার তাঁকে সাসপেন্ড করায় অধিবেশনে যোগদান করতে পারছেন না তিনি। এর পরই মুসলিম বিধায়কদের চ্যাংদোলা করে রাস্তায় ফেলে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন শুভেন্দুবাবু।
বুধবার নিজের বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ২০২৬এর বিধানসভা নির্বাচনে কোনও হিন্দুকে জিতিয়ে আনতে পারবে না তৃণমূল। বিধানসভায় শুধু তৃণমূলের মুসলিম বিধায়করাই থাকবেন। তাই আমি একথা বলেছি।