জেলে রয়েছেন ৯ মাস। জামিনের আশাও এখনও ক্ষীণ। এই অবস্থায় জামিন পেতে আইনজীবী বদলে ফেললেন সন্দেশখালির তৃণমূলি গুন্ডা শেখ শাহজাহান। প্রথম দিন থেকে তাঁর হয়ে আদালতে লড়েছেন যে আইনজীবী সেই জাকির রুমানকে বদলে বিপ্লব দাশগুপ্তকে আইনজীবী হিসাবে নিয়োগ করেছেন তিনি। সূত্রের খবর, বিপ্লববাবুকে চলতি বছরের মধ্যেই জামিন করাতে উদ্যোগী হতে অনুরোধ করেছেন শেখ শাহজাহান।
আরও পড়ুন - জেনারেটারে চুল জড়িয়ে ভয়াবহ মৃত্যু গৃহবধূর, জগদ্ধাত্রী পুজোর শোভাযাত্রায় যা ঘটল
পড়তে থাকুন - ছাত্রীদের মোবাইলে অশালীন মেসেজ, কুপ্রস্তাব, খারাপভাবে স্পর্শ, কাঠগড়ায় শিক্ষক
গত ৫ জানুয়ারি সন্দেশখালিতে শেষ শাহদজাহানের বাড়িতে তল্লাশি চালাতে গিয়ে আহত হয়েছিলেন EDর আধিকারি ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। শাহজাহানের দুর্বৃত্তবাহিনী সাংবাদিকদেরও ছাড়েন। সংবাদমাধ্যমের গাড়ি, ক্যামেরা যথেচ্ছ ভাঙচুর করেছিল তারা। এর পর গত ২২ ফেব্রুয়ারি শাহজাহানকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁকে হেফাজতে নেয় ইডি। শুরু হয় তদন্ত।
ওদিকে শাহজাহান অন্তর্ধানে যেতেই গত ফেব্রুয়ারিতে সন্দেশখালিতে ওঠে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ। সেখানে মহিলাদের ওপর নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে শাহজাহান ও তাঁর বাহিনীর বিরুদ্ধে। দায়ের হয় ধর্ষণের অভিযোগও। বিপদ আরও বাড়ে শাহজাহানের। সেই ঘটনার তদন্তভার সিবিআইকে দেয় কলকাতা হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন - প্রিজন ভ্যানে ওঠার আগে ‘ফ্লাইং কিস’ ছুঁড়ল সঞ্জয়, বেপরোয়া আরজি কর কাণ্ডের সিভিক
এত অভিযোগ থাকলেও জামিন পেতে মরিয়া শাহজাহান। জেলে থাকতে দম বন্ধ হয়ে যাচ্ছে তাঁর। তাই জাকির রুমানকে সরিয়ে বিপ্লব দাশগুপ্তকে আইনজীবী নিয়োগ করেছেন তিনি। সূত্রের খবর, শাহজাহানের দাবি, ইতিমধ্যে গরুপাচারকাণ্ডে অনুব্রতর জামিন হয়েছে। শিক্ষা দুর্নীতিতে জামিন পেয়েছেন মানিক ভট্টাচার্য, জীবনকৃষ্ণ সাহাসহ অনেকে। তাহলে তাঁর জামিন হবে না কেন? আইনজ্ঞরা বলছেন, গত ৫ জানুয়ারি শাহজাহানের বাড়ি ছাড়াও বনগাঁর প্রাক্তন পুরপ্রধান শংকর আঢ্যর বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছিল ইডি। ওই রাতে তাঁকে গ্রেফতারও করা হয়। গত ২৭ অগাস্ট জামিন পেয়েছেন তিনি। শাহজাহান ৫ জানুয়ারি হামলা না চালালে তিনিও হয়তো এতদিনে জামিন পেয়ে যেতেন। কিন্তু শুধু ইডির মামলা নয়, তাঁর বিরুদ্ধে ইডির ওপর হামলা ও নারী নির্যাতনের অভিযোগও রয়েছে। যা আর্থিক তছরূপের থেকেও অনেক গুরুতর অভিযোগ। ফলে আপাতত জেল থেকে তাঁর বেরনোর সম্ভাবনা ক্ষীণ।