কলকাতা হাইকোর্ট গঙ্গাসাগর মেলা নিয়ে রায় দিয়েছে। তাতে কড়া কোভিড–বিধি মানার কথা উল্লেখ করা রয়েছে। আবার ৫০ জনের বেশি কোথাও যেন জমায়েত না হয় সেদিকেও লক্ষ্য রাখতে বলা হয়েছে। তার পরও সেখানে ভিড় বাড়ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ইতিমধ্যেই ডায়মন্ড হারবার মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ১১০ জন চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। সুতরাং সবমিলিয়ে কঠিন অবস্থা দেখা যাচ্ছে।
এখন ডায়মন্ড হারবার স্বাস্থ্য জেলার অন্তর্গত গঙ্গাসাগরে মেলার প্রস্তুতি তুঙ্গে উঠেছে। শুক্রবার তীর্থযাত্রীদের বিভিন্ন পরিষেবা দেওয়া হয়েছে। তারপরও সেখানে ভিড় উপচে পড়ছে বলে সূত্রের খবর। কলকাতা হাইকোর্ট যে নজরদারি কমিটি গড়ে দিয়েছে তা কতটা কাজ করছে সেটাও দেখার। সংক্রমণ যেন ছড়িয়ে না পড়ে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
যদিও প্রশাসনের তরফে দাবি, সমস্ত কোভিড–বিধি মেনেই গঙ্গাসাগর মেলার আয়োজন করা হয়েছে। এই দাবি করা হলেও এখানে দেখা গিয়েছে পুলিশ–প্রশাসনের সামনে লোকজন মুখে মাস্ক পড়ছে, আর যেখানে পুলিশ নেই সেখানে মুখে মাস্কও নেই। এমনকী মেলা প্রাঙ্গণের বিভিন্ন জায়গায় চলছে জটলা। নিষেধাজ্ঞা থাকলেও সমুদ্রে নেমে স্নান সারছেন অনেকে।
কচুবেড়িয়া ঘাটে দেখা মিলেছে, পুণ্যার্থীদের উপচে পড়া ভিড়। শারীরিক দূরত্ব শিকেয় উঠেছে। কাকদ্বীপের লট ৮ ঘাটে ভিড় হয়েছিল। এই বিষয়ে মন্ত্রী বঙ্কিম হাজরা বলেন, ‘প্রস্তুতিপর্ব চূড়ান্ত পর্যায়ে হয়ে গিয়েছে। গঙ্গাসাগর মেলায় একশো শতাংশ টিকাকরণ হয়ে গিয়েছে। আদালতের রায় মেনে চলা হবে’। কিন্তু এই ভিড় সংক্রমণ ছড়াতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।