সংগঠন যাঁর মজবুত থাকে তাঁর অস্তিত্ব সর্বত্র টের পাওয়া যায়। এখন যা প্রত্যক্ষ করছে তৃণমূল কংগ্রেস থেকে গোটা বাংলা। তিনি সৈকতনগরী জেলার নেতা হলেও পাহাড়েও তাঁর স্পষ্ট ছাপ পড়ল। হ্যাঁ, তিনি পূর্ব মেদিনীপুরের দাদা শুভেন্দু অধিকারী। যাঁর সমর্থনে এবারে পোস্টার পড়ল শৈলশহরে। আসলে তাঁর তৈরি সংগঠন শুধু পূর্ব মেদিনীপুরেই সীমাবদ্ধ ছিল না। পাহাড়বাসীর ঘুম ভাঙল শুভেন্দুর পোস্টার, হোর্ডিং দেখে। যেখানে লেখা রয়েছে, ‘শারদোৎসব, কালীপুজো, ভাইফোঁটা, ছটপুজো এবং ২০২১ সালের আগাম শুভেচ্ছা। তারপরের লাইনে লেখা ‘দাদা আমরা গর্বিত তোমার জন্য।’ এই পোস্টারের সৌজন্য সেই দাদার অনুগামীরা। সেটাও লেখা রয়েছে পোস্টারের নীচে। তবে পুরোটাই নেপালি ভাষায়।
শুভেন্দু অধিকারী শুক্রবার মন্ত্রিত্ব ছেড়েছেন। ছেড়েছেন নিজের নিরাপত্তা, এইচআরবিসি চেয়ারম্যানের পদ এবং হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যানের পদও। এই পোস্টারকে ঘিরে শোরগোল পড়ে যায় শৈলশহরে। দার্জিলিং ক্লক টাওয়ার, ম্যাল, চক বাজারে পড়েছে পোস্টার। কার্শিয়াং স্টেশন এবং জিটিএয়ের চেয়ারম্যান অনীত থাপার বাড়ির রাস্তায় পড়ে শুভেন্দু অধিকারীর সমর্থনে পোস্টার। যা নিয়ে চরম অস্বস্তিতে পড়েছে মোর্চার দুই শিবিরই।
পাহাড়ে পোস্টার রাজনীতি নতুন নয়। বরাবরই পাহাড়ের রাজনীতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে হাতে লেখা পোস্টারে। কিন্তু এবারে একেবারে ছাপা পোস্টার! তাও আবার শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে। সকাল থেকেই পাহাড়ের রাস্তাজুড়ে ছিল এই পোস্টার। তবে দুপুর গড়াতেই উধাও হয়ে যায় পোস্টার। শৈলশহরের রাস্তা থেকে উধাও হয়ে যায় শুভেন্দুর সমর্থনে লেখা পোস্টার, হোর্ডিং। কারা খুললেন? তা কেউ জানে না। মনে করা হচ্ছে, পাহাড়ের দুই শিবিরই অস্বস্তিতে পড়ে এই কাজ করেছে।
উল্লেখ্য, আগে সমতলের বিভিন্ন জেলা, ব্লকে পড়েছে পোস্টার। খোলা হয়নি। ছটপুজোর দিন শিলিগুড়ির মহানন্দা ঘাটে হোর্ডিং লাগাতে এলে এক গাড়ির চালককে আটক করে পুলিশ। তবে পোস্টার খুলে ফেলার ঘটনা এই প্রথম। ঘটনা ঘটল শুভেন্দু অধিকারী মন্ত্রিত্ব ছাড়ার পর। সবমিলিয়ে শুভেন্দুকে নিয়ে সরগরম শৈলশহর।