সুন্দরবন সীমান্তের জলপথ পাহাড়ায় এবার বিএসএফের স্পেশাল মহিলা বাহিনী থাকবে। প্রাকৃতিক সম্পদ ও ম্যানগ্রোভ পাচার রুখতে বিশেষ এই বাহিনীর নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এছাড়া অনুপ্রবেশ যাতে করা না যায়, সেদিকেও লক্ষ্য রাখবেন তাঁরা। গতকাল, রাজ্যে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ পূর্বাঞ্চলীয় নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন। তারপরই এই সিদ্ধান্ত বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। আজ, রবিবার আধুনিক অস্ত্র নিয়েই চলল তার মহড়া।
এদিকে উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাটে স্বরূপনগর থেকে হেমনগরের শামসেরনগর পর্যন্ত মোট সীমান্ত প্রায় ৯৩ কিলোমিটার। তার মধ্যে জলপথ রয়েছে ৪০ কিলোমিটার। বাকি ৫৩ কিলোমিটার কাঁটাতার। এই জল সীমান্ত এলাকার অধিকাংশই অরক্ষিত থাকায় জলদস্যুরা ঢুকে পড়তে পারে। পাশাপাশি রয়েছে সুন্দরবনের বিশাল জঙ্গল। সেখানে বাংলাদেশি জলদস্যুরা সীমান্ত নিরাপত্তার দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে ঢুকে পড়ে অনেক সময়। আর নদীপথে এসে মৎস্যজীবীদের জিনিসপত্র এবং নৌকা লুট করে সহজেই জল পথ ব্যবহার করে বাংলাদেশে পালিয়ে যায়।
অন্যদিকে বিশাল অরণ্যের জঙ্গলে নানা সময় চোরাশিকারীদের দাপট, ম্যানগ্রোভ পাচার, প্রকৃতির ফল, মধু এমনকী বাংলাদেশি পাচার রুখতে কেন্দ্রীয় মহিলা সীমান্তে স্পেশাল ফোর্স নিয়োগ করা হয়েছে বলে খবর। শুধুমাত্র জল সীমান্তে এরা ভাসমান স্পিডবোটের মাধ্যমে অত্যাধুনিক রেডার আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে দিনরাত ভারত– বাংলাদেশ বঙ্গোপসাগরে ‘টি জংশনে’ টহল দেবে। এমন ২০ জন স্পেশাল মহিলা বাহিনীকে জল সীমান্ত সুরক্ষায় নিরাপত্তা দিতে নিয়োগ করেছে সীমান্তের আধিকারিকরা।
আজ, রবিবার তার মহড়া চলল সন্দেশখালিতে। বঙ্গোপসাগরের ভারত–বাংলাদেশে মাঝখান দিয়ে বয়ে যাওয়া বিহারী খাল রয়েছে। আর সেখান থেকেই নজরদারি শুরু করল তারা। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক রাজ্যে সীমান্ত সুরক্ষা বৃদ্ধি নিয়ে আলোচনা করেছে। নবান্নে বিএসএফ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আলোচনা করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। খুব দ্রুত তা বাস্তবায়িত হবে। তার আগে সুন্দরবনের জল সীমান্তে স্পেশাল মহিলা বাহিনীকে নিয়োগ করে আগাম সর্তকতা জারি করা হল।