নিজের মোবাইল থেকে মেয়ের বান্ধবীকে অশ্লীল মেসেজ পাঠানোর অভিযোগ উঠেছে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় ওই ব্যক্তি ও তাঁর শ্যালককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। যদিও যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ওই ব্যক্তি। তাঁর দাবি, তিনি রাজনীতির শিকার। ভোটের আগে তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে।
নাবালিকার অভিযোগ, গত এক মাস ধরে ফেসবুকে আপত্তিকর মেসেজ পাঠাতেন ময়নাগুড়ির বাসিন্দা ওই ব্যক্তি। প্রথমদিকে বিষয়টি সে এড়িয়ে গেলেও পরে বিরক্ত করা বাড়তে থাকে। এমনকী ফেসবুকে নাবালিকার ছবি সুপার ইম্পোজ করে পাঠানোরও অভিযোগ উঠেছে।
বিষয়টি যখন বাড়াবাড়ির পর্যায়ে চলে যায়, তখন নাবালিকা গোটা ঘটনাটি পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের জানান। এরপর নাবালিকার দাদা অভিযুক্ত ওই ব্যক্তির বাড়িতে আসেন ও প্রতিবাদ করেন। অভিযোগ, তখন অভিযুক্তের শ্যালক নাবালিকার দাদাকে লোহার রড দিয়ে পেটান। এরপরই নাবালিকার পরিবারের তরফে পুলিশে অভিযোগ করা হয়। পুলিশ ওই অভিযুক্ত ও তাঁর শ্যালককে গ্রেফতার করেছে। জানা যায়, ছ'বছর ধরে নাবালিকার যাতায়াত ছিল অভিযুক্তের বাড়িতে।
ময়নাগুড়ি থানার পুলিশ গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। যদিও যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ৫০ বছরের ওই ব্যক্তি। তাঁর দাবি, তিনি আরএসপি করেন। জেলা কমিটির সদস্য ও বামপন্থী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত। ভোটের আগে তাঁকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। শাসকদলের বিভিন্ন দুর্নীতির বিরুদ্ধে তিনি সরব হন। সেই কারণে তাঁকে চক্রান্ত করে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।
যদিও এই বিষয়ে পাল্টা প্রতিক্রিয়া দিয়েছে তৃণমূল। ময়নাগুড়ি তৃণমূলের ব্লক সভাপতি মনোজ রায় জানান, ‘উনি নোংরা ঘটনা থেকে পার পেতে রাজনীতির রং লাগানোর চেষ্টা করছেন। আইন আইনের পথেই চলবে।’