বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > অন্যান্য জেলা > Offbeat Darjeeling: কোথায় গরম? রংভং নদীতে পা ডুবিয়ে বসুন, সুন্দরী তাবাকোশি

Offbeat Darjeeling: কোথায় গরম? রংভং নদীতে পা ডুবিয়ে বসুন, সুন্দরী তাবাকোশি

পাহাড়ে প্রকৃতির মাঝে কাটিয়ে আসতে পারেন কয়েকটা দিন। সংগৃহীত ছবি

রংভং নদীর পাশে ছোট্ট পাহাড়ি গ্রাম। বলা হয়ে থাকে সেই ৮০র দশকের শেষ দিকে তৎকালীন জিএনএলএফ নেতা সুভাষ ঘিষিংয়ের খুব প্রিয় জায়গা ছিল এটি। এখানে পর্যটন প্রসারের ব্যাপারে তিনি নানা চিন্তাভাবনা করতেন। তারপর থেকেই উত্তরের পর্যটন মানচিত্রে চলে আসে তাবাকোশির নাম।

এবারের ছুটিতে ঠিক কী চাইছেন? আপনার সঙ্গে একটা পাহাড় থাকবে, সবুজ জঙ্গল থাকবে, নির্জনতা থাকবে আর পা ডুবিয়ে পাথরে বসতে পারবেন তেমন একটা ঝিরঝিরে নদী থাকবে। তেমনটা যদি ভেবে থাকেন তবে আপনি চলে আসুন তাবাকোশি। এর সঙ্গে বাড়তি পাওনা ওই নিরিবিলি পাহাড়ি গ্রামের অজস্র ফুলের বাহার। সেই সঙ্গে নাম না জানা নানা পাখির মেলা। এককথায় আপনি যেমন চাইছেন মনে মনে তেমনটাই পাবেন তাবাকোশিতে।

রংভং নদীর পাশে ছোট্ট পাহাড়ি গ্রাম। সেই ৮০র দশকের শেষ দিকে তৎকালীন জিএনএলএফ নেতা সুভাষ ঘিষিংয়ের খুব প্রিয় জায়গা ছিল এটি। এখানে পর্যটন প্রসারের ব্যাপারে তিনি নানা চিন্তাভাবনা করতেন। তারপর থেকেই উত্তরের পর্যটন মানচিত্রে চলে আসে তাবাকোশির নাম।

তবে এই তাবাকোশি নামের পেছনে একটা ছোট্ট কাহিনি রয়েছে। স্থানীয়দের অনেকেই বলেন, বর্ষাকালে এখানকার ছোট্ট নদীটির জল কিছুটা ঘোলা হয়ে যায়। একেবারে যেন তামার মতো রঙ। আর সেই তামার রঙের নদী থেকে গ্রামের নাম তাবাকোশি। নেপালিতে তামা অর্থে তাঁবা আর কোশি অর্থে নদী। দুয়ে মিলে তাবাকোশি।

অপূর্ব সুন্দর এই গ্রাম। তাবাকোশি নদীর উপর একটি ছোট্ট ব্রিজ রয়েছে। বিকাল শেষে সূর্য যখন অস্ত যায়, ঝুপ করে আঁধার নামে পাহাড়ে তখন যেন এই ব্রিজের কাছাকাছি জায়গাগুলো আরও বেশি আদিম হয়ে ওঠে প্রকৃতি।

মিরিক থেকে কাছেই এই তাবাকোশি। একাধিক হোমস্টে গড়ে উঠেছে এখানে। তাবাকোশিতে একটি বিষ্ণু মন্দির রয়েছে পাহাড়ের কোলে। এটা দেখে আসতে পারেন। পাহাড়ের কোলে সবুজে মোড়া তাবাকোশি পার্কটাও খুব ভালো লাগবে।

কী কী করতে পারেন তাবাকোশিতে?

তাবাকোশি নদীতে মাছ ধরে সময় কাটাতে পারেন।নদীর ধারে পিকনিকও বেশ ভালোই জমবে। ট্রেকিংয়ের ইচ্ছা থাকলে ভারত নেপাল সীমান্তের গ্রাম সীমানা ভিউ পয়েন্ট পর্যন্ত ঘুরে আসতে পারেন। এখানে রিভার সাইড ক্যাম্পিংয়েরও ব্যবস্থা রয়েছে।

কীভাবে যাবেন তাবাকোশি ?

এনজেপি থেকে সুখিয়া পোখরিয়াডং হয়ে তাবাকোশি আসতে পারেন। শেয়ার গাড়ি রয়েছে।এতে খরচ অনেকটাই কম পড়ে।তবে এনজেপি থেকে সরাসরি গাড়ি ভাড়া করেও যেতে পারেন তাবাকোশি। এতে ভাড়া একটু বেশি পড়বে। কিন্তু রাস্তার দুপাশে যে প্রকৃতি দেখবেন তা মন ভালো করে দেবে।

এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup

 

বন্ধ করুন