কলকাতায় ঝিরিঝিরি বৃষ্টি পড়ছে মাঝেমধ্যেই। পাহাড়েও মাঝেমধ্যেই বৃষ্টি। আরও সবুজ হয়ে উঠছে দার্জিলিং পাহাড়। এই সময়টাতে ঘুরে আসতে পারেন দার্জিলিং পাহাড়ে। কালিম্পং যাওয়ার প্ল্যান আছে যাদের তারা চলে যেতে পারে খড়কা গাঁও। খড়কা গাঁও আপনাকে নিরাশ করবে না কোনওদিন। আর হোম স্টের বারান্দা থেকে পাহাড়ের বৃষ্টি দেখার অনুভবই আলাদা। তবে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখাটা ভাগ্যের উপর ছেড়ে দেওয়াটাই ভালো।
ঘুরে আসুন খড়কা গাঁও, কালিম্পংয়ের সুন্দরী গ্রাম। চারদিকে সবুজে সবুজ। ভাগ্য ভালো থাকলে কাঞ্চনজঙ্ঘা দর্শন হয়ে যেতে পারে। তবে এই সময়টাতে মেঘে ঢাকা থাকার সম্ভাবনাই প্রবল। কালিম্পং এর কম পরিচিত গ্রাম এই খড়কাগাঁও। এনজেপিতে নেমে গাড়ি ভাড়া করে চলে আসা যায় খড়কা গাও। আসার পথে মেলি বাজার এর কাছে একটু দাঁড়াতে পারেন। এখান থেকে তিস্তা অপূর্ব। রাস্তার পাশের দোকানে গাড়ি দাঁড় করিয়ে মোমো খেতে ভুলবেন না।
খড়কা গাঁওতে একাধিক হোম স্টে রয়েছে। আগে থেকে বুক করে আসবেন। রাস্তার দুপাশে পাইন বার্চ গাছের সারি। তার মাঝখান দিয়ে রাস্তা। কাছে পিঠে রয়েছে একাধিক ঝরনা। আসলে খড়কা শব্দের অর্থ গবাদিপশুর চরণভূমি। এমনটাই বলেন অনেকে। নভেম্বর থেকে জানুয়ারি মাসের মধ্যে এলে এখানে আপনি প্রচুর কমলালেবুর গাছ দেখতে পাবেন। কমলালেবুরও চাষ হয় এখানে।
খড়কা গাঁওতে একাধিক হোমস্টে আছে। অবশ্য আগে থেকে বুক করে তবে আসবেন। ইদানিং হোমস্টে থেকে গাড়ি পাঠানোর ব্যবস্থাও থাকে। সেটা আগে ফোন করে জেনে নেবেন। এতে খরচ কিছুটা কমে।
এখান থেকে কাছেই মানেদারা ভিউ পয়েন্ট। হোম স্টে থেকে খানিকটা হেঁটে সেখানে যেতে পারেন। কাছেই পঞ্চমী ফলস।
এখানে বলে রাখা ভালো যারা ওয়াইন খেতে ভালোবাসেন তারা একবার এখানকার লোকাল ওয়াইন টেস্ট করে দেখতে পারেন। অন্যরকম স্বাদ। খারাপ লাগবে না।
বছরের যে কোন সময় দেই খড়কা গাও আসা যায়।একেক ঋতুতে খড়কা গাঁওয়ের রূপ এক এক রকম।
এখান থেকে ডেলো , দূরপিন দারা,লাভা লোলেগাঁও রিশপ ঘুরে আসতে পারেন।
এনজিপি থেকে গাড়িতে খরকা গাঁও সাড়ে তিনঘণ্টা মতো সময় লাগে। আর এই হ্যাপি ভিলেজে এলে মন খারাপ উধাও হবে আপনারও।