বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > অন্যান্য জেলা > Offbeat Darjeeling: বারান্দা থেকেই কাঞ্চনজঙ্ঘা, কালিম্পংয়ের রূপের ডালি ইচ্ছেগাঁও

Offbeat Darjeeling: বারান্দা থেকেই কাঞ্চনজঙ্ঘা, কালিম্পংয়ের রূপের ডালি ইচ্ছেগাঁও

পাহাড়ের প্রেমে পড়েন অনেকেই। সংগৃহীত ছবি

গ্রাম থেকে কাছেই একাধিক ট্রেকিং রুট হয়েছে। হোমস্টেতে জল খাবার খেয়ে সেই পায়ে চলা পথে ঘুরে আসুন। দেখুন পাহাড়ি মানুষের জীবন। তাদের সহজ সরলতা। সবুজ প্রকৃতি। মন একদম ভালো করে দেবে।

ইতিমধ্যে স্কুলগুলিতে গরমের ছুটি পড়তে শুরু করেছে। অনেকেই লাগেজ নিয়ে পাহাড়ে কিছুদিন কাটিয়ে আসার পরিকল্পনা করছেন। তবে ভিড়ে ঠাসা দার্জিলিংকে এড়িয়ে অনেকেই খুঁজছেন স্বল্প পরিচিত কোনও পাহাড়ি গ্রাম। মানে পাহাড়ে থাকার আনন্দও থাকবে। আবার সেই শহরের ঘিঞ্জি ব্যাপারটা থাকবে না। এক্ষেত্রে আপনি ইচ্ছেগাঁওয়ের কথা ভাবতে পারেন। কালিম্পংয়ের অত্যন্ত সুন্দর গ্রাম। গত কয়েকবছরের উত্তরবঙ্গে বেড়ানোর তালিকায় নাম করে নিয়েছে এই পাহাড়ি জনপদ।

ঘুরে আসুন ইচ্ছে গাঁও। মনের মধ্যে কোথাও যদি মন খারাপ বাসা বেধে থাকে তবে বেমালুম উধাও হবে ইচ্ছেগাঁওতে এলে। এক কথায় ইচ্ছে পূরণের গ্রাম। কালিম্পং এর ছোট্ট সুন্দরী গ্রাম। কালিংপং সিকিম সীমান্তে ৫৮০০ফুট উচ্চতায় এই নির্জন পাহাড়ি গ্রাম ।

ইদানিং একাধিক হোমস্টে হয়েছে এখানে। আগে থেকে বুক করে চলে আসতে পারেন।

হোমস্টের জানালা থেকে দেখা যায় কাঞ্চনজঙ্ঘাকে। বরফের মুকুট পড়ে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে। তবে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখা, ভাগ্যের ব্যাপার। মেঘের আড়ালে কাঞ্চনজঙ্ঘা ঢেকে থাকলে দেখতে পাবেন না। তবে সাধারণত অক্টোবর-নভেম্বর মাসে ঝকঝকে রোদে কাঞ্চন দর্শন হতে পারে।

তবে গরমে ও বর্ষাকালেও ইচ্ছেগাঁওয়ের অন্যরূপ। এখান থেকে কাছেই রামিতেদারা, তিনচুলে, জলসা ভিউ পয়েন্ট। সেসব দেখে আসতে পারেন।

সব ভুলে দুদিন নির্জনে থাকার জন্য পাহাড়ের কোলে আদর্শ গ্রাম ইচ্ছেগাঁও। নির্জনে দু দিন কাটানোর জন্য চলে যান এই নিরিবিলি গ্রামে। সামনে মাথা উঁচু করে থাকা সবুজ পাহাড়, রাস্তার দু'পাশে ফুলের বাগান, ছিমছাম কয়েকটা ঘর, মেঘের আনাগোনা, কুয়াশার রহস্যময়তা,এক অন্যরকম মায়াবী পরিবেশ ইচ্ছেগাঁওতে।

এখান থেকে ডেলো, পেডং, সিলারিগাঁও, ঋষিখোলা ঘুরে আসতে পারেন।

গ্রাম থেকে কাছেই একাধিক ট্রেকিং রুট হয়েছে। হোমস্টেতে জল খাবার খেয়ে সেই পায়ে চলা পথে ঘুরে আসুন। দেখুন পাহাড়ি মানুষের জীবন। তাদের সহজ সরলতা। সবুজ প্রকৃতি। মন একদম ভালো করে দেবে। কাছেই লেপচা শাসকদের একটা দুর্গ আছে।দেখে আসতে পারেন।তবে এখন ভগ্নপ্রায়।

কীভাবে আসবেন?

এনজেপি থেকে ইচ্ছেগাঁওয়ের দূরত্ব প্রায় ৮৮ কিলোমিটার। সরাসরি গাড়ি ভাড়া করে আসতে পারেন। তবে কালিম্পং পর্যন্ত এসে সেখান থেকে আলগাড়া হয়ে ইচ্ছেগাঁওতে আসতে পারেন। এতে খরচ কিছুটা কমবে।

এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup

 

বন্ধ করুন