একে কাঠফাটা গরম বললেও মনে হয় খুব কম বলা হয়। দুপুরবেলা একেবারে বাইরে বের হওয়া যাচ্ছে না। দিন কয়েক আগে মাঝেমধ্য়ে বৃষ্টি হচ্ছিল। কিন্তু এখন সেই বৃষ্টির দেখাও নেই। তবে স্কুল পড়ুয়া ও শিক্ষকদের কাছে কিছুটা স্বস্তির। কারণ গরমের ছুটি কিছুটা বেড়েছে। সেক্ষেত্রে এবার অনেকেই নতুন করে বেড়ানোর প্ল্যান করছেন। আর গরমকালে বেড়াতে যাওয়ার কথা মাথায় এলেই সবার আগে মনে হয় পাহাড়ের কথা। কিন্তু পাহাড়ের ঠিক কোথায় যাবেন?
ইদানিং অনেকে সান্তুক যাচ্ছেন। নামটা কি চেনা চেনা লাগছে?কালিম্পং থেকে কুড়ি কিলোমিটার দূরে এই সান্তুক।শিলিগুড়ি থেকে দূরত্ব প্রায় ৮০ কিলোমিটার। রহিং ও পায়ুং নদীর ধারে এই গ্রাম।এখান থেকে লাভা ১৪ কিলোমিটার। এই গ্রাম থেকে রিশপের দূরত্ব প্রায় ১৩ কিলোমিটার। তার মানে সন্তুকে থেকে আপনি ইচ্ছা করলে কাছাকাছি একাধিক ডেস্টিনেশনে ঘুরে আসতে পারেন। এখান থেকে সামালবং, রামধুরা কোলাখাম, দাঁড়াগাও ঘুরে আসতে পারেন।
এই গ্রাম থেকে কাছেই রেলি নদী। চার পাশে পাহাড়। জঙ্গল সবুজে সবুজ। তার মাঝে রেলি নদীর পাথরে বসে সুখ দুঃখের গল্প করুন। আর প্রিয় বন্ধু যদি সঙ্গে থাকে তবে তো কথাই নেই। কোথা দিয়ে যে সময় কেটে যাবে বুঝতেই পারবেন না। দেখবেন খালি মনে হবে, এই অফিসের ব্যস্ততা, দশটা -পাঁচটার জীবন, ভিড় বাস, ঘামে ভেজা গেঞ্জি, এসবের মাঝে কত কিছুই না হারিয়ে ফেললেন। এবার একটু অন্য ভাবে ভাবুন এই জীবনটাকে।
নেওড়া ভ্যালির অভয়ারণ্যের সংলগ্ন এলাকায় এই গ্রাম।এখানে অনেকে ক্যাম্পিং করার জন্য আসেন। বাস্তবিকই যারা পাহাড়ের কোলে ক্যাম্পে রাত কাটাতে চান তাদের জন্য আদর্শ জায়গা হল সান্তুক। তবে হোমস্টেও গড়ে উঠেছে এখানে।
অনেকে এনজেপি থেকে সরাসরি গাড়িতে চলে আসেন সন্তুকে। হোমস্টে বা যারা ক্যাম্পিং করেন তারাই আপনাকে গাড়ির ব্যবস্থা করে দিতে পারেন। না হলে প্রথমে কালিম্পং চলে আসুন। সরকারি বাসেও আসতে পারেন। সেখান থেকে কিছুটা সস্তায় চলে আসতে পারেন সান্তুক। কালিম্পংয়ের আলগারা হয়ে সান্তুকে আসতে হয়। কালিম্পং বাজার থেকে গাড়ি পেয়ে যাবেন। ভাড়া একেবারে নাগালের মধ্য়েই। মন ভালো হয়ে যাবে।