বৃদ্ধ দম্পতির রহস্যমৃত্যুতে তোলপাড় হয়ে উঠল পুরুলিয়া। ফ্ল্যাট ভেতর থেকে ভেসে আসছে রক্ত। সেখান থেকে উদ্ধার বৃদ্ধ দম্পতির দেহ। ফ্ল্যাটের দরজা খুলতেই দেখা যায়, মেঝেতে মুখে বালিশ চাপা অবস্থায় পড়ে রয়েছেন গৃহকর্তা। আর বিছানায় রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁর স্ত্রীর দেহ পড়ে রয়েছে। এটা খুন না আত্মহত্যা? এই ঘটনায় পরিচিত কেউ জড়িত নাকি অপরাধী অপরিচিত? সব প্রশ্নের উত্তর জানতে খতিয়ে দেখছে পুলিশ। নিহত দম্পতির মেয়েকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, পুরুলিয়া শহরের তিন নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা ক্ষীরোদ সিন্ধু রায় (৭৬) এবং তাঁর স্ত্রী কৃষ্ণা রায়ের (৭০)। তাঁদের একমাত্র মেয়ে পম্পা সরকার বিবাহিত। থাকেন সদরপাড়ায়। প্রায় রোজই বাপের বাড়িতে আসা–যাওয়া ছিল তাঁর। এমনকী শুক্রবারও সন্ধ্যেবেলা বাপের বাড়িতে এসেছিলেন তিনি। বাবা–মায়ের সঙ্গে দেখা করে ফিরে যান। শনিবার দম্পতির ফ্ল্যাটে পরিচারিকা অঞ্জলি বাউড়ি কাজ করতে এসে কলিং বেল বাজান। কিন্তু সাড়াশব্দ পাননি তিনি। দরজায় সামান্য ধাক্কাতেই খুলে যায়। ভিতরে ঢুকে দেখেন মেঝেতে পড়ে রয়েছে গৃহকর্তার দেহ। বিছানা রক্তাক্ত কৃষ্ণাদেবী।
এই দেখে চিৎকার করেন পরিচারিকা। তাতে ফ্ল্যাটের অন্যান্য আবাসিকরা জড়ো হন। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিশাল পুলিশবাহিনী। পুলিশ সূত্রে খবর, গৃহকর্তাকে শ্বাসরোধ করে এবং তাঁর স্ত্রীকে ধারালো অস্ত্রের কোপে খুন করা হয়েছে। তবে কে বা কারা এই খুন করেছে তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। পুরুলিয়া জেলা পুলিশ সুপার এস সেলভা মুরুগন জানান, সম্পত্তিগত বিবাদের জেরে কেউ ওই দম্পতিকে খুন করে থাকতে পারে। তবে তদন্ত না করে নিশ্চিতভাবে কিছু বলা যাবে না।