পশ্চিমবঙ্গে করোনা চিকিৎসার পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন একাধিক বিশেষজ্ঞ। হাসপাতাল থেকে রোগীদের ছুটি দিতে তাড়াহুড়ো করা হচ্ছে বলে অভিযো তাঁদের। এবার তেমনই একটি ঘটনা প্রকাশ্যে এল শিলিগুড়িতে। শিলিগুড়ির সূর্যসেন কলোনিতে করোনা হাসপাতাল থেকে ছুটি পাওয়ার ৪ দিন পর ফের সংক্রমণ ধরা পড়ল বৃদ্ধের। গত ৭ অগাস্ট মৃত্যু হয় তাঁর।
মৃতের পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, গত ২৮ জুলাই করোনার উপসর্গ দেখা দেওয়ায় বৃদ্ধকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয়। সেখানে ১ অগাস্ট তাঁর করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে বলা জানিয়ে ছুটি দিয়ে দেওয়া হয় বৃদ্ধকে। ফাঁকা বাড়িতে ফিরে আসেন বৃদ্ধ। কারণ, প্রশাসনের তরফে বাড়ির অন্যান্য সদস্যদের সেফ হোমে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল।
বাড়ি ফিরে ফের অসুস্থ হয়ে পড়েন বৃদ্ধ। কাশতে শুরু করেন তিনি। ৩ অগাস্ট সেফ হোম থেকে ফেরেন তাঁর ছেলে। বাবার কাশি দেখে ৪ অগাস্ট ফের তাঁকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যান। ফের বৃদ্ধের লালারস পরীক্ষায় পাঠানো হয় ৫ অগাস্ট তাঁর লালারস পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ আসে। এর পর বৃদ্ধের শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি হতে থাকে। তাঁকে শিলিগুড়ির করোনা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। গত ৭ অগাস্ট সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়।
ঘটনায় সরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলেছেন তাঁর পরিজনরা। মৃতের ছেলের দাবি, করোনা হাসপাতালে ভর্তির ৫ দিনের মাথায় বাবাকে ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়। প্রবীণদের ঝুঁকি বেশি জানলেও সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসাবে আরও কটা দিন হাসপাতালে রেখে দিলে বাবাকে অকালে চলে যেতে হত না।