আগেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জেরবার ছিল দল। লোকসভা নির্বাচনের পর থেকে উত্তরবঙ্গে তৃণমূলের সংগঠনে ধস নেমেছে। অনেকেই যোগ দিচ্ছেন বিজেপিতে। অনেকে বসে গিয়েছেন। যার ফলে ক্রমশ দুর্বল হচ্ছে শাসকদল। দলের সেই করুণ অবস্থার কথা দলনেত্রীর কাছে তুলে ধরতে কনভয় আটকালেন এক প্রবীণ তৃণমূলকর্মী। হাত জোড় করে তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তাঁর নিবেদন, ‘পুরনো কর্মীরা বসে যাচ্ছেন। আপনি কিছু করুন।’
মঙ্গলবার জলপাইগুড়ি শহরে সভাস্থলে পৌঁছনোর সময় তৃণমূলনেত্রীর গাড়ি আটকান রাজন রায় নামে প্রবীণ এক তৃণমূলকর্মী। শহরের পাহাড়পুর এলাকার বাসিন্দা রাজেনবাবু মমতাকে বলেন, ‘জেলায় দলের পুরনো কর্মীদের গুরুত্ব দিচ্ছে না নেতৃত্ব। তারা বসে যাচ্ছে। কেন এমন হল?’ সঙ্গে জলপাইগুড়ি পুরসভায় বর্ষায় জল জমা সমস্যার কথাও মুখ্যমন্ত্রীর সামনে তুলে ধরেন। বলেন, জলপাইগুড়ি পুরসভার ২৫টি ওয়ার্ডের মধ্যে ২০টি ওয়ার্ডে বর্ষায় জল জমে। এখনো সেই সমস্যার কোনও সুরাহা হয়নি’। রাজেনবাবুকে অল্প সময়ের মধ্যেই মুখ্যমন্ত্রীর গাড়ির কাছ থেকে সরিয়ে দেন নিরাপত্তাকর্মীরা।
২০১৮ সালে একই ভাবে জলপাইগুড়ি সফররত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গাড়ি রুখেছিলেন রাজেনবাবু। এলাকায় জলের সমস্যার কথা জানিয়েছিলেন তিনি। তাতে কাজও হয়েছিল।
এদিন ফের তিনি মুখ্যমন্ত্রীর কনভয় আটকানোয় জেলা তৃণমূল সভাপতি কৃষ্ণকুমার কল্যাণী বলেন, ‘আমাদের পার্টি অফিস তো ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকে। কারও কিছু জানানোর থাকলে সেখানে জানাতে পারেন।’