বয়স জনিত কারণে শিকার করতে অক্ষম বাঘ। তাই গোসাবায় পূর্ণ বয়স্ক বাঘটিকে এখন খাঁচাবন্দি করেই রাখা হয়েছে। বাঘটির স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর পরিস্থিতি বুঝে তাঁকে ছাড়া হবে বলে জানা গিয়েছে।
জানা গিয়েছে, বাঘটি এখন শিকার করতে পারছে না। ফলে এখনই বাঘটিকে ছাড়া হচ্ছে না। পূর্ণ বয়স্ক ওই বাঘটির স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে। স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার পর যদি মনে হয়, বাঘটি শিকার করতে অক্ষম তাহলে তাঁকে জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হবে কিনা, সেবিষয়ে ভাবতে হবে।
আপতত বাঘটিকে ঝড়খালি রেসকিউ সেন্টারে রাখা হয়েছে। বাঘটির চিকিৎসা শুরু হয়েছে। চিকিৎসার পর বাঘটি যদি শিকারে সক্ষম হয়, তাহলে তাঁকে জঙ্গলে ছাড়া হবে না হলে রেসকিউ সেন্টারেই রেখে দেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, গত সোমবার রাতে ম্যানগ্রোভ জঙ্গল থেকে বিদ্যাধরী নদীতে সাঁতার কেটে গোসাবার বালি মথুরাখণ্ড গ্রামে ঢুকে পড়ে পূর্ণবয়স্ক বাঘটি। এরপর হাবুল দাসের বাড়ির গোয়াল ঘরে ঢুকে তিনটি ছাগল এবং একটি গরুকে মেরে ফেলে বাঘটি। এলাকাবাসীর চিৎকার-চেঁচামেচিতে লোকালয় সংলগ্ন জঙ্গলে আশ্রয় নেয় সে।
আতঙ্কে ঘুম উড়ে যায় এলাকাবাসীর। ঘটনাস্থলে পৌঁছোয় পুলিশ, বনদফতরের কর্মীরা। শুরু হয় মাইকিং। সেইসঙ্গে নেট জাল দিয়ে ঘিরে ফেলা হয় সমস্ত জঙ্গল। গোটা গ্রাম হ্যালোজেনের আলোয় মুড়ে ফেলা হয়। দু'প্রান্তে দুটি খাঁচা পাতা হয়েছিল। দেওয়া হয়ছিল ছাগলের টোপও । আর সেই টোপে পা দিয়েই ভোর ৪টা ৫০ মিনিট নাগাদ খাঁচায় ধরা দেয় বাঘটি। জানা গিয়েছে, বাঘটির বয়স ১০ থেকে ১১ বছর। এত ঘন ঘন কীভাবে জঙ্গলে বাঘ লোকালয়ে ঢুকে পড়ছে, এখন সেই প্রশ্নই মাথাচাড়া দিচ্ছে।