পুলিশ সাহায্য করছে না, তাই আইনশৃঙ্খলার কারণে বাতিল বিশ্বভারতীর সমাবর্তন অনুষ্ঠান। এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। সংবাদমাধ্যমকে সমাবর্তন বাতিল নিয়ে বিশ্বভারতীর উপাচার্য বলেন, ‘রাজ্য প্রশাসন কোনও সাহায্য করছে না। ওসি-কে ডাকলেও আসছেন না।’ উপাচার্যের অভিযোগ, তিনি ১৭ দিন ধরে বন্দি। তাঁকে মারা হয়েছে। তাঁর প্রশ্ন, এই আবহে কীভাবে সমাবর্তন অনুষ্ঠান হবে?
উল্লেখ্য, বিশ্বভারতীর সমাবর্তন অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার কথা ছিল রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস ও সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের। এই আবহে উপাচার্যের বিস্ফোরক অভিযোগের প্রেক্ষিতে বীরভূম জেলা পুলিস সুপার নগেন্দ্র ত্রিপাঠির দাবি, সবকরম সাহায্য করা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে। উপাচার্যের বাসভবনের সামনে তিনজন পুলিশ মোতায়েন করা রয়েছে বলেও জানান তিনি। যদিও তাঁর কথায়, ছাত্র আন্দোলন বিশ্বভারতীর অভ্যন্তরীণ বিষয়, তাতে হস্তক্ষেপ করবে না পুলিশ।
এদিকে সমাবর্তন বাতিল নিয়ে তৃণমূলকে দায়ী করে ময়দানে নেমেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর অভিযোগ, আন্দোলনরত পড়ুয়ারা আদতে ‘তৃণমূলের গুন্ডা’। এই নিয়ে টুইটে নন্দীগ্রামের বিধায়ক লেখেন, ‘দুর্ভাগ্যজনক! উপাচার্যকে জোর করে ১৫ দিনের জন্য তাঁর বাড়িতে বন্দি করে রাখা হয়েছে। এর ফলেই বাতিল বিশ্বভারতীর সমাবর্তন উৎসব৷ অনুষ্ঠান হলে বিশ্বভারতীর ঐতিহ্যের জন্য দেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বরা এই অনুষ্ঠানে অংশ নিতে পারতেন। ২৪ নভেম্বর থেকে উপাচার্যের বাড়ির বাইরে যাঁরা বিক্ষোভ দেখিয়েছেন তাঁরা তৃণমূলের গুন্ডাদের দ্বারা সমর্থিত৷ বাংলার পুলিশের অসহযোগিতার জন্য ক্যাম্পাসে কখনও স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরবে না। পশ্চিমবঙ্গের মর্যাদা মাটিতে মিশে গিয়েছে। কলঙ্কিত হয়েছে বিশ্বভারতীর ঐতিহ্য।’