সম্প্রতি স্কুলের মিড ডে মিলে খাদ্য সামগ্রীর গুণগত মান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। প্রশ্ন উঠেছিল, খাদ্য সরবরাহকারী সংস্থাগুলির ভূমিকা নিয়েও। এবার ফের মিড ডে মিলে খাদ্য সরবরাহের দায়িত্ব দেওয়া হল স্কুলগুলিকেই। তবে সেক্ষেত্রে খাদ্য সামগ্রীর নমুনা যাচাই ও গুণমান বজায় রাখার মতো বেশ কিছু শর্ত চাপানো হল। এভাবে শর্ত চাপানো নিয়েই এবার প্রশ্ন তুলেছেন শিক্ষক–শিক্ষিকাদের একাংশ।
বারাসত ২ নম্বর ব্লকের বিভিন্ন স্কুলে মিড ডে মিল সরবরাহের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল দুটি সংস্থাকে। কিন্তু তাতে নিম্নমানের ডাল, ছোলা ও সয়াবিন দেওয়ার অভিযোগ ওঠে ওই সব সংস্থার বিরুদ্ধে। শিক্ষক–শিক্ষিকাদের একাংশ জেলাশাসকের দফতরকে চিঠি দিয়ে অভিযোগ জানায়। এবার সেই অভিযোগের উপর ভিত্তি করেই জেলাশাসক খোঁজখবর নেন। এরপর গত ১৬ জুন বিডিও–এর দফতর থেকে একটি নির্দেশিকা দেওয়া হয়। সেই নির্দেশিকায় স্পষ্ট জানানো হয়েছে, এবার থেকে আলু, চিনি, সয়াবিন, ডাল কিনবে স্কুলগুলিই। মিড ডে মিলের খাদ্য সামগ্রী গত শনিবারের মধ্যে প্যাকেট বন্দি করার কথা বলা হয়েছিল। পাশাপাশি মিড ডে মিলের খাদ্য সামগ্রীর নমুনা যাচাই ও গুণমান ঠিক রাখা-সহ নানা শর্ত স্কুল কর্তৃপক্ষের ওপর চাপানো হয়। কাউকে কোনও অগ্রিম টাকা দেওয়া যাবে না বলেও প্রশাসনের তরফে শর্ত চাপানো হয়।
যদিও এভাবে শর্ত চাপানো নিয়ে ইতিমধ্যে সর্বশিক্ষা অভিযানের এক আধিকারিকের কাছে নালিশ জানায় অ্যাডভান্সড সোসাইটি ফর হেড মাস্টার্স অ্যান্ড হেড মিসস্ট্রেসেস–এর প্রতিনিধিরা। তাঁদের মতে, লকডাউন পরিস্থিতিতে এত কম সময়ের মধ্যে খাদ্য দ্রব্যের নমুনা যাচাই ও গুণমান ঠিক রাখা স্কুলগুলির পক্ষে সম্ভব নয়। তাঁদের প্রশ্ন, আগেও তো স্কুলগুলির তরফে মিড ডে মিল দেওয়া হয়েছে। তখন তো প্রশ্ন তোলা হয়। তাহলে এখন কেন শর্ত চাপানো হচ্ছে? একইসঙ্গে নির্দেশিকায় যে অগ্রিম না দেওয়ার কথা বলা হয়েছে, সেই প্রসঙ্গে সংগঠনের প্রতিনিধিরা প্রশ্ন তোলেন, স্কুলের হাতে এত তহবিল আছে কি? এই প্রসঙ্গে বিডিও অর্ঘ্য মুখোপাধ্যায় জানান, 'স্কুলের তহবিল না থাকলে আমাকে জানাচ্ছে না কেন? স্কুল কাউকে কোনও অগ্রিম দেবে না বলেই জানানো হয়েছে।'