ইটাহারে বিজেপি যুবনেতা মিঠুন ঘোষের খুনের কারণ ঘিরে ঘনীভূত হচ্ছে রহস্য। ঘটনায় পুলিশ এখনও পর্যন্ত একজনকে গ্রেফতার করেছে বলে জানা গিয়েছে। পুলিশের দাবি, ধৃত সন্তোষ মহান্ত মৃত বিজেপি নেতার পরিচিত। জানা গিয়েছে মিঠুনবাবুকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় তিনি তাঁর ভাই অজিত ঘোষকে দুটি নাম জানিয়েছিলেন - সুকুমার ঘোষ ও সন্তোষ মহান্ত।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ কয়েকজন যুবক বাইকে চেপে মিঠুন ঘোষের বাড়ির সামনে আসে। তাঁর নাম ধরে ডাকতেই বাইরে বেরিয়ে আসেন যুব মোর্চা নেতা। সেই সময়ই পয়েন্ট ব্ল্যাক রেঞ্জ থেকে তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। রক্তাক্ত অবস্থায় মিঠুনবাবু মাটিতে লুটিয়ে পড়ে গেলে দুষ্কৃতীরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। এরপর তড়িঘড়ি তাঁকে রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য রায়গঞ্জ জেলা হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। কে বা কারা এই কাজ করল তা জানতে ঘটনার তদন্ত শুরু করে ইটাহার থানার পুলিশ। তদন্তের প্রেক্ষিতেই গ্রেফতার করা হয় সন্তোষ মহান্তকে।
এদিকে বিজেপির তরফে দলের প্রাক্তন রাজ্য কমিটির সদস্য প্রদীপ সরকার দাবি করেন, তৃণমূল কংগ্রেস আশ্রিত দুস্কৃতীরাই যুব নেতাকে খুন করেছে। এদিকে ইটাহারের বিধায়ক ঘটনার দায় এড়ানোর পাশাপাশি পালটা অভিযোগ করেন, বিজেপির গোষ্ঠী কোন্দলের জেরেই এই খুন হয়েছে।