মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুরের বিধায়ক জাকির হোসেনকে বোমা মারার হুমকি দেওয়ার ঘটনায় ঝাড়খন্ড থেকে আসাদুজ্জামান নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল পুলিশ। অভিযুক্ত আসাদুজ্জামান সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, তিনি জাকির হোসেনের মেয়েকে ভালোবাসতেন কিন্তু তাঁর কোনও জবাব না পাওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে এই কাজ করেছেন।
আসাদুজ্জামানের দাবি, তিনি কোনো হুমকি দেননি। তিনি বলেন, ‘আমি দু’বছর ধরে ওঁর মেয়েকে ভালবাসি। তাই আমি জাকির হোসেনকে মেসেজ করতাম। কিন্তু উনি কোনও রিপ্লাই দিতেন না। সেই কারণে আমি বিরক্ত হয়ে কিছু কথা বলেছি।’
রবিবার এক সাংবাদিক বৈঠকে বিধায়ক জাকির হোসেন জানান, তার হোয়াটস অ্যাপে কেউ বা কারা বিভিন্ন ধরনের গালিগালাজের মেসেজ করেছেন এবং তাকে বোমা মারার হুমকি দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল করি। সেই কারণে আমাদের হেনস্থা করা হচ্ছে। কিছু দালাল বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছে, রেইড করিয়ে দেব, মিথ্যা কেসে ফাঁসিয়ে দেব। আমরা যেহেতু তৃণমূল করি সেই কারণে আমাদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে, গালাগালি করা হচ্ছে।’
আরও পড়ুন। ঘূর্ণিঝড় রেমালের জেরে আরও ৩ জনের মৃত্যু, মৌসুনি দ্বীপ বৃদ্ধার ঘাড়ে পড়ল গাছ
বিধায়ক জাকির হোসেনের দাবি, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে তাকে এই ধরনের হুমকি দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ‘তৃণমূল করার কারণেই আমাদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে এবং আমাদেরকে বিভিন্নভাবে হেনস্থা করার চেষ্টা চলছে।’
এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে জাকির হোসেন সুতি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ ঘটনাটি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত শুরু করে এবং দ্রুত তদন্তের ভিত্তিতে অভিযুক্ত আসাদুজ্জামানকে ঝাড়খন্ড থেকে গ্রেফতার করে।
আরও পড়ুন। যাদবপুরে র্যাগিংয়ে মৃত ছাত্রের নামে পুরস্কার, কারা পাবে? গৃহীত হল প্রস্তাব
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আসাদুজ্জামানকে হেফাজতে নেওয়ার জন্য আদালতে আবেদন করা হয়েছে। এই হুমকি ও গালিগালাজের ঘটনায় জড়িত অন্য কোনও ব্যক্তি জড়িত আছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
অভিযোগ পাওয়ার বিধায়ক জাকির হোসেনের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়ে এবং তার পরিবারের সদস্যদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্যও ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এর পর ফোনেল লোকেশন ট্র্যাক করে পুলিশ অভিযক্তকে গ্রেফতার করে। তাঁকে হেফাজনে তিনি জিজ্ঞাসাবাদ করতে চাইছে পুলিশ।
আরও পড়ুন। সাংসদ খুনের মূল হোতা আমেরিকায় পলাতক, তদন্তে ইন্টারপোলের সহায়তা নেবে বাংলাদেশ