নৈহাটির বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতের নাম মুন্না সাউ। সে বাজির মশলার জোগান দিত বলে জানিয়েছে পুলিশ। আজ ধৃতকে ব্যারাকপুর আদালতে পেশ করা হবে।
আরও পড়ুন : নৈহাটিতে বাজি কারখানায় বিস্ফোরণে মৃত ৪, NIA তদন্তের দাবি অর্জুনের
প্রাথমিকভাবে পুলিশ জানিয়েছে, বাজি কারখানার মূল পান্ডা ছিল মুন্না। সে মধ্যপ্রদেশ থেকে সড়কপথে বাজির মশলা নৈহাটির কারখানায় সরবরাহ করত।
আরও পড়ুন : নৈহাটি বিস্ফোরণে ‘বিশেষ জোরালো তদন্ত’ চেয়ে টুইট ধনখড়ের
প্রসঙ্গত, গত ৩ জানুয়ারি নৈহাটির মসজিদপাড়ায় একটি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ হয়। উড়ে যায় কারখানার ছাদ। বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে কেঁপে ওঠে দেবক-সহ বিস্তীর্ণ এলাকা। দু-তিন কিলোমিটার দূরেও কম্পন অনুভূত হয়। মৃত্যু হয় চারজনের।
আরও পড়ুন : ভরদুপুরে প্রবল বিস্ফোরণ, নৈহাটি - চুঁচুড়ায় ভাঙল বহু বাড়ির কাচ, এলাকায় আতঙ্ক
ঘটনার পর থেকেই এনআইএ তদন্তের দাবি জানান ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং।খাগড়াগড়ের মতো সন্ত্রাস যোগের সম্ভাবনার অভিযোগও তোলেন তিনি। বিস্ফোরণের পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবি জানান রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়।
আরও পড়ুন : যাদের ক্র্যাক হয়েছে, তারা ক্ষতিপূরণ পাবেন, নৈহাটি নিয়ে আশ্বাস মমতার
এরইমধ্যে কারখানা থেকে উদ্ধার হওয়া বারুদ নিষ্ক্রিয় করতে গিয়ে বিপত্তি বাধে। নৈহাটি গঙ্গার ধারে বারুদ নিষ্ক্রিয় করার সময় বিস্ফোরণ হয়। বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে, নৈহাটি উলটো দিকের চুঁচুড়াতেও কয়েকটি বাড়িতে ফাটল ধরে যায়। সেই দায় অবশ্য বম্ব ডিসপোজাল স্কোয়াডের উপর চাপায় পুলিশ।
আরও পড়ুন : নৈহাটি বিস্ফোরণের দায় বম্ব ডিসপোজাল স্কোয়াডের ঘাড়ে দিলেন পুলিশ কমিশনার