মুর্শিদাবাদের বহরমপুর সংশোধনাগারে মৃত্যু হল বাংলাদেশের বিচারাধীন এক বন্দির। কয়েক মাস ধরেই ওই বন্দি বহরমপুর সংশোধনগারে ছিলেন। বুকে ব্যথা নিয়ে তাকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ওই বন্দির নাম সুকুম আলি কালু। তিনি বাংলাদেশের রানিবাঁধের চাঁদপুর জেলার বাসিন্দা ।
জানা গিয়েছে, ২০১৯ সালে গ্রেফতার করা হয়েছিল সুকিম আলিকে। অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের অপরাধে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তারপর আদালতের নির্দেশে তিনি জেলেই রয়েছেন। প্রথমে তাকে গ্রেফতার করে রাখা হয়েছিল মালদহের জেলা সংশোধনাগারে। প্রায় দুই বছরেরও বেশি সময় মালদহের জেলে থাকার পর তাকে বহরমপুর সংশোধনাগারে রাখার নির্দেশ দেয় আদালত। মাস খানেক ধরেই তাকে বহরমপুর সংশোধনাগারে রাখা হয়েছে। সংশোধনাগার সূত্রে খবর, হঠাৎ বুকে ব্যথা শুরু হয় ওই বন্দির। তারপর তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানেই তার মৃত্যু হয়।
উল্লেখ্য, সংশোধনাগারে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ এবং বন্দিদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহারের অভিযোগ বরাবরই উঠে আসছে। সংশোধনাগারে স্বাস্থ্যকর পরিবেশ গড়ে তোলার জন্য সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশও রয়েছে। তার পরেও সংশোধনাগারগুলির হাল ফিরছে না। বন্দিদের সঙ্গে অমানবিক ব্যবহারের অভিযোগ প্রায়ই উঠে আসছে। বন্দিদের হাল-হকিকত জানার জন্য বুধবার বহরমপুর সংশোধনাগার পরিদর্শন করেছেন রাজ্য লিগাল সার্ভিস কমিটির চেয়ারম্যান তথা কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সৌমেন সেন। সূত্রের খবর, সেখানে অসুস্থ বন্দিদের শারীরিক ও মানসিক অবস্থা, মহিলা বন্দিদের স্বাচ্ছন্দ্য এবং দীর্ঘ দিন ধরে জেলবন্দিদের আচরণ সংক্রান্ত পর্যবেক্ষণ নথি দেখেন বিচারপতি সেন। প্রসঙ্গত, দেশের বিভিন্ন সংশোধনাগারের বন্দিদের দুরবস্থা নিয়ে একাধিক বার উষ্মা প্রকাশ করেছে সুপ্রিম কোর্ট এবং হাইকোর্ট।