মন্দির চত্বরে এক প্রৌঢ়কে খুন করল দুষ্কৃতীরা। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে। ঘটনাটি পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনার তাতারপুর গ্রামের। মৃতের নাম সনাতন সাঁতরা (৫৮)। আজ সকালে তার রক্তাক্ত দেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। ঘটনায় খবর পেয়ে পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়। কে বা কারা খুন করেছে? কেনই বা তাকে খুন করেছে? তা কিছুতেই বুঝে উঠতে পারছেন পরিবার।
পুলিশের অনুমান গতকাল মাঝরাতে ওই প্রৌঢ়কে খুন করে দুষ্কৃতীরা। এরপর সেখান থেকে তারা পালিয়ে যায়। সনাতনের স্ত্রী এবং দুই ছেলে রয়েছে। তবে দুই ছেলে বাইরে কাজ করায় স্ত্রীর সঙ্গেই থাকতেন তিনি। বাড়ি থেকে ৫০০ মিটার দূরে একটি শীতলা মন্দির রয়েছে। সেই শীতলা মন্দির চত্বরে তিনি জরিবুটি বিক্রি করতেন। তা থেকেই তার সংসার চলত। সেই সূত্রে তিনি শীতলা মন্দিরেই বেশি সময় কাটাতেন। গতকালও তিনি মন্দিরে ছিলেন। আজ সকালে মন্দিরের পাশে এক ডেকোরেটরের ঘর থেকে তার রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়।
পুলিশের অনুমান, পরিকল্পনা করে সনাতনকে খুন করা হয়েছে। তার মাথায়, ঘাড়ে এবং গলায় আঘাতের চিহ্ন মিলেছে। জানা গিয়েছে, সনাতন সিপিএমের কর্মী। তাহলে কি সেই কারণেই তাকে খুন করা হয়েছে? যদিও তা এখনও স্পষ্ট নয় পুলিশের কাছে। পরিবার এবং স্থানীয়দের দাবি, এলাকায় একজন ভালো মানুষ হিসেবেই পরিচিত সনাতন। কারও সঙ্গে কোনও শত্রুতা ছিল না। কারও সঙ্গে কোনও ঝগড়াঝাটিও করেননি। ফলে কী কারণে এই খুনের ঘটনা তা নিয়ে ধন্দে তদন্তকারীরা। তার মৃতদেহ ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।