মদের ঠেকে বচসা। তার জেরে গুলি চলল দক্ষিণ ২৪ পরগনার জীবনতলা ঘুটিয়ারি শরিফ ফাঁড়ির নবপল্লিতে। গুলিবিদ্ধ হযে মৃত্যু হয়েছে এক যুবকের। আহত হয়েছেন আরও একজন। ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
রবিবার রাতে ঘুটিয়ারি শরিফের রেললাইন লাগোয়া একটি জায়গায় মদ্যপান করছিলেন আটজন। সেই সময় কোনও বিষয় নিয়ে তাঁদের মধ্যে বচসা শুরু হয়। তারইমধ্যে গুলি চালানো হয়। গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় ফিরোজ মোল্লা নামে এক যুবকের। আহত হয়েছেন মাজেদ শেখ অপর এক ব্যক্তি।
খবর পেয়ে রবিবার রাতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় জীবনতলা ঘুটিয়ারি শরিফ ফাঁড়ির পুলিশ। উদ্ধার করা হয় একটি বন্দুক ও চার রাউন্ড গুলি। গ্রেফতার করা হয় চারজনকে। অপর এক অভিযুক্ত আবদুর রহমান সর্দার এখনও পলাতক। তাঁর খোঁজে তল্লাশি চলছে। স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ-প্রধান আবুল কাসেম সর্দার জানান, প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে যে তাঁরা হেরোইন, গাঁজা-সহ বিভিন্ন অবৈধ কারবারের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। সেই ব্যবসা নিয়েই সম্ভবত বচসা হয়। তারপর গুলি চালানো হয়।
উল্লেখ্য, ১২ ঘণ্টার ব্যবধানে বেহালায় গুলি চলেছিল। রবিবার দুপুর নাগাদ মুচিপাড়ায় গুলি চলে। কয়েক রাউন্ড গুলি চালায় একদল দুষ্কৃতী। তবে গুলিতে কেউ আহত হননি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে বেহালা থানার পুলিশ। উদ্ধার করা হয়েছে কয়েকটি কার্তুজের খোল। একাংশের আবার দাবি, পুলিশের সামনেই দুষ্কৃতীরা গুলি চালাতে থাকে। কয়েকজন দোকানদারকেও মারধর করা হয় বলে দাবি স্থানীয়দের। শনিবার রাতেও মুচিপাড়ায় গুলি চলেছিল। স্থানীয় যুব তৃণমূল নেতা সোমনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, ১২১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা সুরজিৎ দাসের বাড়িতে ধাক্কা দেয়। চালানো হয় গুলিও। এলাকায় সুরজিৎতৃণমূলকর্মী হিসেবে পরিচিত বলে দাবি একাংশের।