পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া-সহ উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলায় মাঝেমধ্যেই হানা দেয় হাতির পাল। হাতির আক্রমণে অনেকের মৃত্যুও হয়। এবার থেকে হাতির আক্রমণে মৃতের পরিবারের এক সদস্যকে চাকরি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার।
মঙ্গলবার পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার প্রশাসনিক পর্যালোচনা বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আমরা আজ ঠিক করেছি, কেউ যদি হাতির আক্রমণে মারা হারান, যেটা বেশিরভাগটা ঝাড়গ্রামের দিকে হয়। মেদিনীপুরে হয়, পুরুলিয়ায় হয়, বাঁকুড়ায় হয় এবং উত্তরবঙ্গের কয়েকটি জেলায় হয়। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে হাতির আক্রমণে কেউ মারা গেলে তাঁদের (পরিবারকে) সাহায্য করা হবে। তাঁদের পরিবারের একজন সদস্যকে স্পেশাল হোমগার্ডের চাকরি দেওয়া হবে।’
মুখ্যমন্ত্রী জানান, হাতির হানায় নিহতদের পরিবারকে ২.৫ লাখ টাকা দেওয়া হলেও তাঁদের দিকে কেউ ফিরে তাকান না। তার জেরে সমস্যায় পড়েন মৃতের পরিজনরা। সেজন্য স্পেশাল হোমগার্ডে চাকরি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ‘তার কারণ হচ্ছে, অনেকে এভাবে মারা যান। তারপর কেউ হয়তো ফিরেও তাকায় না। তাঁরা ২.৫ লাখ টাকা পান। এবার থেকে স্পেশাল হোমগার্ডের চাকরিও পাবেন। এটা নীতিগত সিদ্ধান্ত।’
রাজনৈতিক মহলের মতে, জেলাগুলিতে মূলত হাতি আক্রমণে মৃত্যু হয়, তার মধ্যে পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়ায় লোকসভা ভোটে রীতিমতো ধাক্কা খেয়েছে তৃৃণমূল কংগ্রেস। শাসক দলের ভোটব্যাঙ্কে কার্যত ধস নেমেছে। একইভাবে উত্তরবঙ্গেও মুখ থুবড়ে পড়েছিল তৃণমূল। তাই আগামী বছর বিধানসভা ভোটের আগে নিজেদের জমি পুনরুদ্ধারের ক্ষেত্রে এই সিদ্ধান্ত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।