গ্রামের মাটিতে বসেছিল মদের আসর। সেখানেই দুই বন্ধুর মধ্যে তুমুল বচসা হয়। সেখান থেকে হাতাহাতি পর্যন্ত গড়ায়। এই উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে এক বন্ধু আর এক বন্ধুকে লক্ষ্য করে গুলি চালাল। আর সেই গুলি গিয়ে লাগল একেবারে নাকে। রক্তাক্ত এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। ওই যুবককে মারাত্মক জথম অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মালদার ইংরেজবাজার থানার নঘরিয়া গ্রামের এই ঘটনা এখন চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে।
ঠিক কী ঘটেছে মালদায়? স্থানীয় সূত্রে খবর, শুক্রবার রাতে বন্ধুদের মদ্যপানের আসর বসে। নঘরিয়া এলাকায় কয়েকজন বন্ধুরা বসে মদ্যপান করছিল। সেখানে কোনও একটি ইস্যুতে মতান্তর তৈরি হয়। আর তার জেরে শুরু হয়ে যায় বচসা। সেখান থেকে মারামারি পর্যন্ত হয়। এমন অবস্থায় এক বন্ধু পকেট থেকে বন্দুক বের করে গুলি চালিয়ে দিল। তাতেই রক্তাক্ত হয়ে পড়ে এক যুবক।
পুলিশ কী তথ্য পেয়েছে? পুলিশ সূত্রে খবর, এখানে মদ্যপানের আসর বসিয়েছিলেন কয়েকজন বন্ধু। হঠাৎই দুই বন্ধুর ঝামেলা শুরু হলে রকি শেখ নামে এক যুবক পকেট থেকে পিস্তল বের করে বন্ধু মণিরুল শেখের দিকে তাক করে গুলি চালিয়ে দেয়। একটি গুলি লাগে মণিরুলের নাকে। তৎক্ষণাৎ ঘটনাস্থলে লুটিয়ে পড়ে মণিরুল শেখ। তখন বেগতিক দেখে চম্পট দেয় রকি। মণিরুলকে মালদার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যায় অন্য বন্ধুরা। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
কী জানাচ্ছে মণিরুলের পরিবার? পরিবার সূত্রে খবর, মণিরুল অত্যন্ত মেধাবী ছাত্র। সে ওখানে উপস্থিত ছিল। কিন্তু মদ্যপান করেনি। তবে বিষয়টি নিয়ে বচসা হতেই কিছু বুঝে ওঠার আগেই গুলি চালিয়ে দেয় রকি। গুলি চালিয়ে সঙ্গে সঙ্গে সেখান থেকে পালিয়ে যায় রকি। মণিরুল কৃষিকাজও করত। এই যুবক রকি কর্মসূত্রে থাকে হায়দরাবাদে। সেখান থেকে এখানে ছুটিতে এসেছিল। এখন গুলি চালিয়ে সেখানেই পালিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে কেন এই ঝামেলা তা বোঝা যাচ্ছে না।