খবরটি আগেই পেয়েছিল পুলিশ কর্তারা। সেই মতোই সাজানো হয় গেম প্ল্যান। আর তারপর রাজ্য পুলিশের এসটিএফের জালে উঠে এল কেএলও জঙ্গি। এভাবে যে সে ধরা পড়ে যাবে তা বুঝতে পারেনি এই জঙ্গি। রবিবার মাঝরাতে কোচবিহার থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে কেএলও জঙ্গিকে। আজ, সোমবার ধৃতকে তোলা হবে আদালতে। উত্তরবঙ্গে এই জঙ্গি ধরা পড়ার ঘটনা বাড়ায় চিন্তিত পুলিশ মহল।
কোন সূত্রে মিলল খবর? গত ফেব্রুয়ারি মাসে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে শিলিগুড়িতে অভিযান চালায় রাজ্য পুলিশের এসটিএফ। তখন তাঁদের জালে ধরা পড়ে অবিনাশ রায় নামে একজন। যে জঙ্গিদের স্লিপার সেল হিসাবে কাজ করত। শিলিগুড়িতেও এই কাজে এসেছিল সে। এসটিএফ এই অবিনাশকে জেরা করে বেশ কয়েকটি নাম পায়। সেই সূত্রটিই এবার কাজে লাগল।
এসটিএফ সূত্রে খবর, অবিনাশকে জেরা করে মৃণাল বর্মনের খোঁজ মেলে। তারপরই মৃণালকে শিলিগুড়ির ফাঁসিদেওয়া থেকে গ্রেফতার করা হয়। এই মৃণালের সঙ্গে অবিনাশের যোগ ছিল। জঙ্গি মৃণাল তোলাবাজির কাজ করত। সেই টাকায় অস্ত্র কিনত মৃণাল। এখানে অবিনাশ–মৃণালকে জেরা করে ধনকুমার বর্মণের নাম জানা যায়। যে গোটা প্রক্রিয়াটি চালাত।
সূত্রের খবর, এই ধনকুমার বর্মণের সম্পর্কে আগেই সব জেনে নিয়েছিল এসটিএফ। সেই মতো জাল গোটাতে শুরু করে। রবিবার মাঝরাতে কোচবিহারে সে এসেছে বলে খবর পায়। তখন হানা দেয় এসটিএফ। আর গ্রেফতার করা হয় ধনকুমার বর্মণকে। এখন তাকে জেরা করা চলছে। এই জঙ্গি রাজ্যের নানা প্রান্তে ঘুরে নিয়োগ করত। জঙ্গি তৈরি করতে এবং অপারেশন ঘটাতে সেই ঘুঁটি সাজাত।