শীতের রাতে ঘুমিয়ে পড়েছিলেন গ্রামবাসীরা সকলেই। আর সেই সুযোগে গ্রামে একের পর এক মন্দির থেকে গয়না চুরি করল দুষ্কৃতীরা। পরপর পাঁচটি মন্দিরে চুরি হয়েছে বলে অভিযোগ। ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার গঙ্গাজলঘাটি ব্লকের ধবনী গ্রামে। যদিও চুরি করার পর পালাতে পারেনি দুষ্কৃতীরা। গ্রামবাসীদের তৎপরতায় পুলিশ তাদের ধরে ফেলে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই গ্রামে একই জায়গায় সরস্বতী, কালী, মনসা, দুর্গা ও হরি মন্দির অবস্থিত। ওই পাঁচটি মন্দিরে কোনওটির তালা ভেঙে বা কোনওটির দরজা ভেঙে চুরি করা হয়েছে। গ্রামবাসীরা জানাচ্ছেন, মন্দিরে বিভিন্ন সোনার গহনা, বাসনপত্র ছিল। সেগুলি চুরি করেছে দুষ্কৃতীরা। এছাড়াও, মন্দিরের মূর্তি পর্যন্ত ভেঙে ফেলা হয়েছে। গ্রামবাসীদের অনুমান, প্রায় লক্ষাধিক টাকার জিনিসপত্র খোয়া গিয়েছে। সাতসকালে খবর জানাজানি হতেই তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে পুরো এলাকাজুড়ে। দিনের আলো ফুটতেই গ্রামবাসীরা তাদের গ্রামে সন্দেহভাজন একজন ব্যক্তিকে ঘোরাঘুরি করতে দেখেন। সন্দেহ হতেই গ্রামবাসীরা ওই ব্যক্তিকে ধরে ফেলেন। পরে গ্রামবাসীদের চাপের মুখে পড়ে চুরির ঘটনা নিজের মুখে স্বীকার করে নেয়।
তার সঙ্গে আরও দুজন ছিল বলে জানতে পারে পুলিশ। গ্রামবাসীরা তড়িঘড়ি স্থানীয় গঙ্গাজলঘাটি থানায় খবর দেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করে। বাকিদের খোঁজেও তল্লাশি শুরু করে। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছে গঙ্গাজলঘাটি থানার পুলিশ। এই ঘটনায় চুরি যাওয়া কিছু জিনিস উদ্ধার হলেও বাকি জিনিস এখনও উদ্ধার হয়নি সেগুলি উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।