কসবার পর সোনারপুরে ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ড রাজ্য-রাজনীতিতে ইতিমধ্যে আলোড়ন ফেলে দিয়েছে। ইতিমধ্যে এই ঘটনায় মিঠুন মণ্ডল নামে এক স্বাস্থ্যকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশের অনুমান, এই ঘটনার সঙ্গে আরও অনেকে জড়িত। মোটা টাকার বিনিময়ে ‘টিকা’ বিক্রি করা হয়েছে বলে তদন্তকারীদের অনুমান।
ইতিমধ্যে ধৃত মিঠুন মণ্ডলকে দফায় দফায় জেরা করেছেন তদন্তকারীরা। গতকাল তদন্তকারী অফিসারদের সঙ্গে অনেকক্ষণ কথা বলেন বারুইপুরের পুলিশ সুপার। প্রাথমিকভাবে তদন্তকারীরা মনে করছেন, বিরাট অঙ্কের টাকা লেনদেন করা হয়েছে। মিঠুনকে জেরা করে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, জামাকাপড়ের দোকানের মাধ্যমে স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে ভ্যাকসিন দেওয়ার খবর পাঠানো হত। পুলিশ জানতে পেরেছে, যাঁরা ভ্যাকসিন নিয়েছেন, তাঁরা সার্টিফিকেটও পেয়েছেন। এখান থেকে প্রশ্ন উঠছে, কীভাবে এই ‘ভ্যাকসিন’ জোগাড় করলেন মিঠুন? কীভাবে ভ্যাকসিন প্রাপকদের সার্টিফিকেট দেওয়া হচ্ছে? তাহলে কি এক পিছনে অনেকে রয়েছেন? ইতিমধ্যে প্রমোদ নামে একজনের নামও উঠে এসেছে গোটা ভ্যাকসিন কাণ্ডে। তবে গোটা কাণ্ডের সঙ্গে আরও অনেকে জড়িত আছেন বলে সে বিষয়ে তদন্তকারীদের সন্দেহ নেই।
উল্লেখ্য, টিকাপ্রাপক হিসাবে ছদ্মবেশে পুলিশ ঢোকেন সোনারপুরের ভুয়ো টিকাকরণ কেন্দ্রে। ওই কেন্দ্রে যিনি টাকার বিনিময়ে ভ্যাকসিন দিতে চেয়েছিলেন, তাঁর কাছ থেকে দুটো কোভিশিল্ডের ভায়াল পাওয়া যায়। পুলিশ সূত্রে খবর, আপাত দৃষ্টিতে ভায়ালগুলিকে আসল বলে মনে হলেও তা পরীক্ষা করতে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ জানতে পেরেছে, ডায়মন্ডহারবারে গ্রামীণ স্বাস্থ্য কেন্দ্রে কাজ করতেন মিঠুন নামে ওই ব্যক্তি। পুলিশ এখন জানার চেষ্টা করছে, কীভাবে এই কাণ্ডটি চালাতেন মিঠুন। আর কে কে তাঁকে সাহায্য করতেন। কসবায় ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ডে দেবাঞ্জন দেবকে গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে পুলিশ এই বিষয়ে সতর্ক হয়ে যায়।