বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > অন্যান্য জেলা > Burabazar to Darjeeling: দৌড়ে ৬ দিনে ৬৫০ কিমি, বড় বাজার থেকে দার্জিলিং পৌঁছে হাওড়ার তরুণের

Burabazar to Darjeeling: দৌড়ে ৬ দিনে ৬৫০ কিমি, বড় বাজার থেকে দার্জিলিং পৌঁছে হাওড়ার তরুণের

রাজকুমার গৌর।

এটি তার স্বপ্ন পূরণের প্রথম ধাপ। তার স্বপ্ন রয়েছে ওলিম্পিকে গোল্ড মেডেল আনা এবং গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে নাম তোলা। তারপর সেনাবাহিনীতে চাকরি পেতে চান এই তরুণ। তবে তার ৬ দিনের যাত্রাপথটা একেবারেই সহজ ছিল না। কখনও স্টেশনে, কখনও বাসস্ট্যান্ডে আবার কখনও ফুটপাথে রাত কাটিয়েছে রাজকুমার।

ছয় দিনে সাড়ে ৬০০ কিলোমিটার! বাস, বাইক বা সাইকেলে নয়, একেবারে দৌড়ে সাড়ে ৬০০ কিলোমিটার যাত্রাপথ পেরিয়ে বড় বাজার থেকে দার্জিলিং পৌঁছলেন তরুণ। অর্থাৎ প্রতিদিন ১০০ কিলোমিটারের বেশি পথ দৌড়েছেন। এভাবেই দৌড়ে নজির বললেন হাওড়ার ডোমজুড়ের বাসিন্দা তরুণ রাজকুমার গৌর (২০)। তার স্বপ্ন ছিল দৌড়ে কলকাতা থেকে দার্জিলিংয়ে পৌঁছনো। সেই মতোই অসাধ্য সাধন করে লক্ষ্যে পৌঁছলেন এই তরুণ।

এটি তার স্বপ্ন পূরণের প্রথম ধাপ। তার স্বপ্ন রয়েছে ওলিম্পিকে গোল্ড মেডেল আনা এবং গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে নাম তোলা। তারপর সেনাবাহিনীতে চাকরি পেতে চান এই তরুণ। তবে তার ৬ দিনের যাত্রাপথটা একেবারেই সহজ ছিল না। কখনও স্টেশনে, কখনও বাসস্ট্যান্ডে আবার কখনও ফুটপাথে রাত কাটিয়েছে রাজকুমার। তারপর সকাল হতেই থাকে আবার দৌড় শুরু করেছেন। বৃষ্টিতে ভিজে যাওয়ার ফলে শিলিগুড়ি পৌঁছনোর পরে তার জ্বরও এসেছিল। কিন্তু, তারপরেও ইচ্ছাশক্তির জেরে অসাধ্য সাধন করলেন রাজকুমার।

বাবা, মা এবং বোনকে নিয়ে অভাবের সংসার রাজকুমারের। তার বাবা পেশায় ১০০ দিনের শ্রমিক। ছোট থেকে ক্যারাটে ভালোবাসেন রাজকুমার। এলাকায় ক্যারাটে প্রশিক্ষক হিসেবে তার সুখ্যাতি রয়েছে। আর দৌড়ানো যেন তার নেশা। গত ২৯ জুন তিনি বড় বাজার থেকে দার্জিলিংয়ের উদ্দেশ্যে দৌড় শুরু করেন। নবদ্বীপ, বহরমপুর, ফারাক্কাজ কিশানগঞ্জ, শিলিগুড়ি হয়ে অবশেষে দার্জিলিংয়ে পৌঁছন। তিনি বলেন, ‘অভাবের সংসারেও তো মানুষের স্বপ্ন থাকে। আমিও তাই গিনেস বুকে নাম তোলার লক্ষ্যে পরিশ্রম করি। সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে চাই।’ তিনি জানান বৃষ্টির ফলে তার দৌড়ের গতি কিছুটা কমে গিয়েছিল। এর আগেও তিনি দৌড়ে দীঘা এবং ঝাড়খন্ডে গিয়েছেন। তিনি চান দৌড়ে ভারতের উত্তর থেকে দক্ষিণে পৌঁছতে।

বন্ধ করুন