Malbazar flash flood: মাল নদীতে বিসর্জনের দিন মোতায়েন ছিল মাত্র ৮ জন ভলেন্টিয়ার, বিস্ফোরক দাবি ABDA-র

অল ওয়েস্ট বেঙ্গল সিভিল ডিফেন্স অ্যাসোসিয়েশনের সহ সভাপতি সফি আজিজ জানান, ‘ সিভিল ডিফেন্সে ৮০০ জন ভলেন্টিয়ার রয়েছে জলপাইগুড়ি জেলায়। সেখানে মাত্র ৮ জনকে মোতায়েন করা হয়েছিল বিসর্জনের দিন।’ এত বড় বিপর্যয় কি তাদের পক্ষে মোকাবেলা করা সম্ভব ছিল?

মাল নদীতে হড়পা বান। ফাইল ছবি (PTI)

মালবাজারে ভয়াবহ দুর্যোগে মৃত্যুর ঘটনায় প্রথম থেকেই প্রশাসনের গাফিলতির অভিযোগ তুলে আসছে বিরোধীরা। নবান্নের তরফে সেই অভিযোগ নস্যাৎ করে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল বলে দাবি করা হয়েছিল। তবে নবান্নের সেই দাবিকে উড়িয়ে কার্যত বিরোধীদের দাবিকেই সমর্থন জানালো অল বেঙ্গল সিভিল ডিফেন্স অ্যাসোসিয়েশন (এবিডিএ)। তাদের তরফে জানানো হয়েছে, দুর্ঘটনার দিন বিসর্জনের সময় মাত্র আট জন সিভিল ডিফেন্সের ভলেন্টিয়ার মোতায়েন ছিল। আর এই বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতে শুরু হয়েছে বিতর্ক।

মাল নদীতে হড়পা বান কী কারণে? জানতে বিশেষজ্ঞদের নিয়ে কমিটি গঠন করবে প্রশাসন

অল বেঙ্গল সিভিল ডিফেন্স অ্যাসোসিয়েশনের সহ সভাপতি  সফি আজিজ জানান, ‘সিভিল ডিফেন্সে ৮০০ জন ভলেন্টিয়ার রয়েছে জলপাইগুড়ি জেলায়। সেখানে মাত্র ৮ জনকে মোতায়েন করা হয়েছিল বিসর্জনের দিন।’ এত বড় বিপর্যয় কি তাদের পক্ষে মোকাবেলা করা সম্ভব ছিল? তাই নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয় অ্যাসোসিয়েশনের তরফে। সভাপতি জানান, তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন এবং এ নিয়ে নবান্নের কাছে রিপোর্ট জমা দেবেন। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই বিরোধীরা প্রশ্ন তুলেছেন বিসর্জনের সময় যেখানে এত মানুষের ভিড় হয়েছিল সেখানে শুধুমাত্র কেন ৮ জন সিভিল ডিফেন্সের কর্মী মোতায়েন ছিল? কেন পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়নি? তাই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা।

বিসর্জনের সময় মালবাজারে হড়পা বানে মৃত্যু হয়েছে ৮ জনের। স্থানীয়রা অনেকেই উদ্ধার কার্য চালিয়েছেন। স্থানীয়দের অনেকের অভিযোগ ছিল, তাদের উদ্ধারকার্যে বাধা দিয়েছিল পুলিশ। অন্যদিকে, সামনেই রয়েছে ছট পুজো। তার আগে মাল নদীর পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের সভাধিপতি। আবহাওয়া দফতরের খবর আগামী দু-তিন দিন ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে উত্তরবঙ্গে।