গোটা রাজ্য জুড়েই টিকা নেওয়ার লম্বা লাইন দেখেছে বাংলা। এর সঙ্গে হয়রানির খবর তো আছেই। সেই কোন ভোরবেলা থেকে টিকার জন্য হাপিত্যেশ। তারপরেও টিকা জোটেনি অনেকের। এদিকে বাংলা জুড়ে ঘটে চলা এই ঘটনারই একেবারে উলটো ছবি বীরভূমের মুরারইতে। সেখানে টিকার লাইনে ভিড় তো দূরের কথা দিনভর একেবারে খাঁ খাঁ অবস্থা। মঙ্গলবার দিনভর স্বাস্থ্যকর্মীরা টিকা নিয়ে বসে থাকলেন, এই হয়তো কেউ আসবেন টিকা নিতে। কিন্তু কোথায় কী। অপেক্ষাই সার। সারাদিনে টিকা নিতে এলেন মাত্র একজন। এর জেরে কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে স্বাস্থ্যদফতরের। সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে ইতিমধ্যেই মুরারই ১ ব্লকের পঞ্চায়েত সদস্যদের নিয়ে বৈঠক করেছেন স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকরা। কেন তাঁরা টিকা নিতে আসছেন না সেটাই বোঝার চেষ্টা করছে স্বাস্থ্যদফতর।
মুরারই স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, করোনার প্রথম টিকা নিয়েছেন ১৪ হাজার ৪৯৮জন। কিন্তু ১৩ই ফেব্রুয়ারি থেকে মাত্র ৫ হাজার ৫৩০জন দ্বিতীয় ডোজের টিকা নিয়েছেন।কিন্তু কেন দ্বিতীয় টিকা নেওয়ার জন্য বাকিরা এলেন না? তবে ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিকদের দাবি প্রথম ডোজ নেওয়ার পর অনেকেই দ্বিতীয় ডোজ নিতে চাইছেন না। মূলত সচেতনতার অভাব থেকেই বিষয়টি হচ্ছে। এব্যাপারে যাতে কোনওভাবেই কোনও বিভ্রান্তি না ছড়ায় সেজন্যই উদ্যোগী হয়েছে স্বাস্থ্যদফতর। এনিয়ে গ্রামে গ্রামে প্রচার চালানো হবে। বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, করোনা সতর্কতা বিধি মেনে চলার ব্যাপারেও যথেষ্ট অনীহা রয়েছে বাসিন্দাদের। মাস্ক ছাড়াই রাস্তায় বের হচ্ছেন অনেকে। এর উপর আবার টিকা নিতে চাইছেন না। এব্যাপারে ক্লাবগুলিও সচেতনতা বৃদ্ধিতে এগিয়ে আসতে পারে।