করোনা সংক্রমণ রুখতে কড়া বিধি গোটা রাজ্য জুড়ে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য় নানা পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন মহল থেকে। এদিকে এসবের মধ্য়ে মহা আতান্তরে পড়েছেন দার্জিলিং জেলা হাসপাতালে ভর্তি সাধারণ রোগীরা। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, দার্জিলিং জেলা হাসপাতালে আপাতত একটি মাত্র এক্স-রে মেশিন। এদিকে প্রয়োজনে করোনা রোগীদেরও এক্স রে করতে হয়। আবার সাধারণ রোগীদেরও এক্স রে করার প্রয়োজন রয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে বিশেষ উপায় বের করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, বেলা ১২টা পর্যন্ত সাধারণ রোগীদের এক্স রে করার ব্যবস্থা। এরপর বেলা ১২টার পর থেকে এক্স-রে মেশিন ব্যবহার করা হচ্ছে কেবলমাত্র করোনা রোগীদের জন্য। তবে সংক্রমণ এড়াতে এক্স-রে মেশিনকে স্যানিটাইজ করারও ব্যবস্থা করা হয়েছে। কিন্তু জরুরী ভিত্তিতে কোনও সাধারণ রোগীর এক্স রে প্রয়োজন হলে তিনি কী করবেন? হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, এক্ষেত্রে মেশিনটিকে ভালো ভাবে স্যানিটাইজ করা হচ্ছে। এরপর কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে তারপর জরুরী ভিত্তিতে সাধারণ রোগীর এক্সরে করার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
তবে হাসপাতালের সুপার শুভাশিস চন্দ বলেন, ‘পোর্টেবল এক্স রে মেশিন হলে সমস্যা অনেকটাই মিটবে। সেই মেশিনটিকে করোনা ওয়ার্ডে কাজে লাগানো যেতে পারে।’ কিন্তু বাসিন্দাদের প্রশ্ন, যেভাবে একই এক্স রে মেশিনে পরীক্ষা করা হচ্ছে তাতে যেকোনও সময় সাধারণ রোগীরাও সংক্রামিত হতে পারেন। এব্যাপারে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের আরও সতর্ক হওয়া দরকার। অন্যদিকে দার্জিলিং জেলা হাসপাাতলে কোভিড আইসিইউ খোলা হয়েছে। তার মধ্যে ৫টি থাকছে ভেন্টিলেশন সাপোর্ট ও বাকি ৫টিতে থাকছে বাইপ্যাপ সাপোর্ট।