স্বাধীনতার দীর্ঘ ৭৩ বছর পরও মতুয়ারা নাগরিকত্ব না পাওয়ায় বাম – তৃণমূলের সঙ্গে বিজেপির একাংশকেও কাঠগড়ায় তুললেন শান্তনু ঠাকুর। মতুয়া মহাসংঘের সংঘাধিপতির দাবি, ‘মতুয়াদের নাগরিকত্ব দেওয়া প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত উদ্যোগ। বাকিরা এই বিষয়ে ভাবিত নন।’ শনিবার একটি বেসরকারি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে একথা বলেন তিনি।
এদিন শান্তনু বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে বাম ও তৃণমূল মতুয়াদের নাগরিকত্ব দেয়নি। তারা ভোটার কার্ড বানিয়ে দিয়েছে, রেশন কার্ড বানিয়ে দিয়েছে। কিন্তু তার তথ্য কেন্দ্রকে পাঠায়নি।’ শান্তনুর দাবি, ‘প্রধানমন্ত্রী ব্যক্তিগতভাবে মতুয়াদের নাগরিকত্ব দিতে চাইছেন। কিন্তু সবাই তা চাইছেন না। অন্যরা মতুয়াদের ভোট নিয়ে কাটিয়ে দেওয়ার মতলবে রয়েছে। যেমন হয়েছে বছরের পর বছর। এটা একটা ষড়যন্ত্র। বড়মার কাছে এসে প্রতিশ্রুতি দিয়েও মতুয়াদের নাগরিকত্ব নিয়ে কিছু করেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।’
শান্তনু ঠাকুরের মন্তব্যকে গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূল। তৃণমূল নেতা তাপস রায় বলেন, ‘শান্তনুবাবু এখন কখন কী বলেন নিজেরই ঠিক থাকে না। ওনার পর পর বক্তব্য উনি নিজে শুনলে হাসবেন। শুধু প্রধানমন্ত্রী ভালো, আর বাকিরা মন্দ এটা দ্বিচারিতার নামান্তর। তৃণমূল মতুয়াদের জন্য কী করেছে তা সবাই জানে।’
বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘শান্তনু ঠাকুরের সঙ্গে এখনো কথা হয়নি। আগামীতে হতে পারে। ওনার বক্তব্য শুনব। উনি মতুয়া সমাজের প্রতিনিধি হিসাবে কেন্দ্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রকের মন্ত্রী হয়েছেন। সেটাও দেখা উচিত।’