ওড়িশার কুখ্যাত দুষ্কৃতি ধরা পড়ল হাওড়া সিটি পুলিশের জালে। হাওড়া পুলিশ কমিশনারেটের ব্যাঁটরা থানার পুলিশ এই দুষ্কৃতিকে গ্রেফতার করে। ধৃত গৌরাঙ্গ মালিক ওরফে রাধেকে নয়াদিল্লিতেও ডাকাতি করে। মধ্য হাওড়ার এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে জুন মাসে রাধে ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা ডাকাতি করে। এমনকী গৃহকর্ত্রীকে বেঁধে রেখে খুনের হুমকি দিয়ে লুটপাট চালায়। প্রচুর পরিমান সোনার গয়না ও নগদ টাকা নিয়ে তারা চম্পট দেয়। ঘটনার তদন্তে মূল অভিযুক্ত রাধের নাম উঠে আসে।
পুলিশ সূত্রে খবর, ভিন রাজ্যে একাধিক অপরাধমূলক কাজে জড়িত সে। নয়াদিল্লিতে প্রায় ৭৫ লক্ষ টাকা ডাকাতি করে হাওড়ায় পালিয়ে আসে রাধে। গা ঢাকা দিয়েছিল তার আত্মীয় ধর্মেন্দ্রর কাছে। নয়াদিল্লি পুলিশের এসটিএফ হাওড়ায় অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করে রাধেকে। উদ্ধার করে ডাকাতির প্রায় ৭০ লক্ষ টাকা। গত জুন মাসে মধ্য হাওড়ায় এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে দুঃসাহসিক ডাকাতির ঘটনা ঘটে। তদন্তে নেমে ব্যাঁটরা থানার পুলিশ জানতে পারে এই ঘটনায় ওই ব্যবসায়ীর ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের অ্যাম্বুলেন্স চালক ধর্মেন্দ্র জড়িয়ে রয়েছে। সে তার আত্মীয় রাধেকে দিয়ে মালিকের বাড়িতে ডাকাতি করায়।
এছাড়া ধর্মেন্দ্র এবং ওই ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের আরও এক কর্মীকে গ্রেফতার করে ব্যাঁটরা থানা। কারণ তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পারে ধর্মেন্দ্র ও রাধে এরা যে মালিকের কাছে কাজ করত সেখানেই ডাকাতি করত। ডাকাতির পর সিসিটিভি ছবিতে দেখা যায় ব্যাগ ভর্তি সোনা ও টাকা নিয়ে টোটোয় চেপে চম্পট দিচ্ছে দুষ্কৃতিরা। ধর্মেন্দ্র ও তার আরও এক সহযোগীকে গ্রেফতার করে নিজেদের হেফাজতে নেয় পুলিশ। জানতে পারে ধর্মেন্দ্র তার আত্মীয় রাধেকে দিয়ে ডাকাতি করিয়েছিল। গোলাবাড়ি থানা এলাকায় একটি হোটেলে তারা ছিল। তাকে আজ হাওড়া আদালতে তোলা হয়।