বেশ কয়েকদিন ধরে খাওয়া–দাওয়া কমে গিয়েছিল। শুধু এপাশ–ওপাশ করে শুয়ে থেকেই দিন কাটত। রাস্তার ধারে ষাঁড়টিকে শুয়ে থাকতে দেখে অনেকেরই সন্দেহ হয়। পশু চিকিৎসককে খবর দেওয়া হয়। পরীক্ষা--নিরrক্ষার পর চিকিৎসকরা জানান, ধাতব কোনও বস্তু গিলে থাকতে পারে ষাঁড়টি। সেজন্যই গলা ও নাভির অংশ ফুলে গিয়েছে। এ বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার জন্য মেটাল ডিটেক্টরও আনা হয়। কিন্তু তাতেও কিছু লাভ হয়নি। শেষপর্যন্ত অসুস্থ মহাদেবের বাহনকে খোঁয়াড়ে রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অন্য পশু চিকিৎসকদের সঙ্গে পরামর্শ করেই পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
ধূপগুড়ির মোরঙ্গা চৌপথী এলাকায় গত ১০ দিন ধরেই রাস্তার পাশে নিস্তেজ হয়ে পড়েছিল একটি সাদা ষাঁড়। ঘোরাঘুরিও কমে গিয়েছিল। এভাবে নিস্তেজ হয়ে পড়ে থাকায় স্থানীয় বাসিন্দাদের সন্দেহ হয়। স্থানীয় মানুষেরাই পশুপ্রেমী সংস্থাকে খবর দেয়। সেই সংস্থার তরফে খবর দেওয়া হয় পশু চিকিৎসকদের। চিকিৎসকরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে বুঝতে পারেন যে, ষাঁড়টি খাবারের সঙ্গে কোনও ধাতব বস্তু খেয়ে থাকতে পারেন। সেই কারণেই ওর গলা ও নাভির অংশটি ফুলে থাকতে পারে। তবে শরীরের কোনও অংশে এই ধাতব বস্তুটি আটকে রয়েছে, সেটা বুঝতে পারছিলেন না চিকিসকরা। স্থানীয় থানার সঙ্গে যোগাযোগ করে মেটাল ডিটেক্টর আনারও ব্যবস্থা করা হয়। মেটাল ডিটেক্টর নিয়ে এসে শরীরে বুলিয়ে দেখাও হয়। কিন্তু তাতেও কিছুই লাভ হয়নি।
ঠিক হয়েছে, আপাতত মহাদেবের এই বাহনকে খোঁয়াড়ে রাখা হবে। কীভাবে অসুস্থ এই নিরীহ জীবটিকে সুস্থ করে তোলা যায়, সেজন্য অন্য পশু চিকিৎসকদের সঙ্গেও আলোচনা করা হবে। অভিজ্ঞ চিকিৎসকদের সঙ্গে পরামর্শ করেই পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।