আসানসোলের কুলটির বাসিন্দা অঙ্কিতা সরকার। তিনি পেশায় আসানসোল পুরনিগমের কর্মী। তিনি একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কর্ণধারও। তাঁর দাবি, সোশ্য়াল সাইটে বিজ্ঞাপন দেখে তিনি ৫টি ১০ লিটারের অক্সিজেন সিলিন্ডার ও ৫টি কিটের অর্ডার দেন। এদিকে ওই সংস্থার ঠিকানা লেখা ছিল কলকাতা সংলগ্ন নরেন্দ্রপুর। এবার ১১মে সংস্থার অ্যাকাউন্টে তিনি চার দফায় ৫৮ হাজার টাকা দেন। এরপর ঘণ্টা তিনেকের মধ্যে সিলিন্ডার দেওয়ার ব্যাপারে কথা দেয় সংস্থা। কিন্তু ওই সিলিন্ডার তো আসেইনি। এরপর নানা অজুহাতে ঘোরানো হয়েছে অঙ্কিতাকে। এমনটাই দাবি করেছেন তিনি।
অগত্যা কুলটি থানা ও আসানসোল পুলিশ কমিশনারেটের দ্বারস্থ হন অঙ্কিতা সরকার। তাঁর দাবি, অভিযুক্তদের টাওয়ার লোকেশন দেখাচ্ছে বিহারের পটনা। সিম কার্ড হুগলির শ্রীরামপুরের কোনও মহিলার নামে রয়েছে। গোটা বিষয়টাতেই একটা প্রতারণা চক্র কাজ করছে বলে তাঁর অভিযোগ। তবে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের ধারণা আন্তঃরাজ্য কোনও চক্র জড়িত থাকতে পারে এই প্রতারণাকাণ্ডের সঙ্গে। মূলত অক্সিজেনের সংকটের পরিস্থিতিকে পুঁজি করে তারা লোক ঠকানোর কাজ করছে। জামতাড়া গ্যাংয়ের সঙ্গে এদের কাজকর্মে কিছু মিল পাওয়া যাচ্ছে। সেক্ষেত্রে এই গ্যাংয়ের লোকজনই নতুন করে ফাঁদ পেতেছে কি না সেটা দেখা হচ্ছে। কৌশলে এটিএম কার্ডের গোপন নম্বর হাতিয়ে ঝাড়খণ্ডের জামতাড়া গ্যাং একটা সময় বহু মানুষের অ্য়াকাউন্ট থেকে টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ। এবার কি তারাই কি যুক্ত সাইবার মাধ্যমে অক্সিজেন প্রতারণার সঙ্গে?