সরকারি বিভিন্ন সুবিধা এবং প্রকল্প নিজেদের লোকেদের পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ প্রায়ই ওঠে শাসক দলের কর্মীদের বিরুদ্ধে। অথচ শাসক দলের গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য এখনও পর্যন্ত লক্ষ্মী ভাণ্ডারের সুবিধা পাননি। এক দফতর থেকে অন্য দফতরে ঘুরে বেড়িয়েও কোনও সুরাহা পাননি পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার কেশপুর ব্লকের ৬ নম্বর জগন্নাথপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্যা বনলতা দলুই।
গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্যা শুধুমাত্র লক্ষ্মী ভাণ্ডারের সুবিধা পাননি তাই নয়, স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পেরও সুবিধা পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ। তাঁর অভিযোগ, স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে ভুলভ্রান্তি রয়েছে অথচ প্রশাসনের বিভিন্ন দফতরের দ্বারস্থ হয়েও সমস্যার সমাধান হয়নি। তিনি জানান, স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে তার নিজের নাম লেখা থাকলেও অনলাইনে আবার অন্য নাম লেখা রয়েছে। যার ফলে তিনি স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের সুবিধা পাচ্ছেন না। পঞ্চায়েত সদস্যার অভিযোগ, তিনি ব্লকে এমনকি জেলাশাসক অফিসে ঘুরে বেড়িয়েছেন। কিন্তু কোথাও কোনও কাজ হয়নি।
উল্লেখ্য, সাধারণ মানুষের সুবিধার জন্য জনকল্যাণমুখী প্রকল্প লক্ষ্মী ভাণ্ডার এবং স্বাস্থ্যসাথী নিয়ে এসেছে রাজ্য সরকার। পঞ্চায়েত সদস্যা বলেন, ‘আমি প্রথমে ব্লকে অভিযোগ জানাই। সেখান থেকে আমাকে জেলা শাসক দফতরে পাঠানো হয়। কিন্তু, জেলাশাসক দফতরে গেলে আবার আমাকে ব্লক অফিসে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। আবার আমি বিডিও অফিসে যাই। সেখানে আমার সমস্ত প্রমাণপত্র নিয়ে পুনরায় আবেদন করে আমি ব্লকে জমা দিই। কিন্তু দুমাস হয়ে যাওয়ার পরেও এখন আমার কার্ড আসেনি।’ উল্লেখ্য, একজন জনপ্রতিনিধিকে এই প্রকল্পের সুবিধা পাওয়ার জন্য এত হয়রানি হতে যাচ্ছে তাহলে মানুষকে এর জন্য কতটা হয়রানি হতে হয় তাই নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন।