জবরদস্তি মদ্যপান করিয়ে নাবালিকাকে অন্তর্বাস খুলতে বাধ্য করানো, তার পর অর্ধনগ্ন কিশোরীর আপত্তিকর ভিডিয়ো তুলে তা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করার অভিযোগে আটক করা হল অভিযুক্ত পঞ্চায়েত সদস্যের স্বামীকে। আরও অভিযোগ, স্বামীকে ‘সাহায্য’ করেছিলেন পঞ্চায়েত সদস্য নিজে। ওই নির্যাতিতার অভিযোগ, ওই পঞ্চায়েত সদস্য তাকে শারীরিক ও মানসিক নিপীড়নও করেছেন। এই অভিযোগে তাকেও আটক করেছে পুলিশ। এখন স্বামী-স্ত্রী দু’জনই পুলিশি হেফাজতে রয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করেনি পুলিশ।
ঘটনার এপিসেন্টার সেই উত্তরবঙ্গ। আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ির পর এবার ময়নাগুড়ি। মদ্যপান করিয়ে নাবালিকাকে যৌন হেনস্থার অভিযোগে আটক করা হয়েছে ওই পঞ্চায়েত সদস্যের স্বামীকে। তারপর থেকেই আতঙ্কে কখনও প্রতিবেশীদের বারান্দায়, তো কখনও জঙ্গলে আত্মগোপন করো থাকছে। এই ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ি জেলার ধূপগুড়ি ব্লকে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নাবালিকার মা, বাবা দু’জনেই পেশায় সাফাইকর্মী। নির্যাতিতা নাবালিকা পাশের পঞ্চায়েত সদস্য প্রতিমা সরকারের বাড়ি ও দোকানে পরিচারিকার কাজ করে।
ঘটনার সূত্রপাত হয় কয়েকদিন আগে। ওই নাবালিকা প্রতিমার বাড়িতে কাজ করতে গিয়েছিল। সেই সময় ওই ব্যক্তি নাবালিকার ভিডিও করতে উদ্যত হয়। তবে প্রতিমাদেবী স্বামীর এই কাজে প্রথমে আপত্তি করেন। তাকে বাধাও দেন।
অভিযোগ, পার্থ তাকে জানায়, এই ঘটনার কথা কেউ জানতে পারবে না। পরে ঘরে থাকা মদের বোতল খুলে প্রতিমা ও নাবালিকাকে জবরদস্তি খাইয়ে দেয় পার্থ বলে অভিযোগ। ওই কিশোরী মদের নেশায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়লে, অভিযুক্ত তাকে পরনের পোশাক খুলে ফেলতে বলে। কিন্তু নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়লেও ওই নাবালিকা তাতে রাজি না হওয়ায়, পার্থ তাকে বেধড়ক পেটায় বলে অভিযোগ। শেষপর্যন্ত ভয়ে নিম্নাঙ্গের পোশাক খুলে ফেলতে বাধ্য হয় নির্যাতিতা। পরে তাকে মোবাইল ক্যামেরার সামনে হাসতে বাধ্য করায় অভিযুক্ত। অর্ধনগ্ন অবস্থায় ওই নাবালিকার ভিডিও তুলে তা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করার অভিযোগ উঠেছে।