ছোটখাটো দর্জির কাজ করে কর্মজীবন শুরু করেছিলেন। এখন তিনি আরামবাগের তৃণমূল পরিচালিত আরান্ডি ১ পঞ্চায়েতের প্রধান। কিন্তু এই সময়ের মধ্যে তাঁর সম্পত্তি বেড়েছে প্রচুর। সেই সঙ্গে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগও উঠেছে বিস্তর। নানা অভিযোগের ভিত্তিতে দলের তরফে পঞ্চায়েত প্রধান সোহরাব হোসেনকে ধরানো হয়েছে শোকজের নোটিশ। তবে তাঁর বিরুদ্ধে যতই অভিযোগ থাক, সেসব নস্যাৎ করে দিয়ে তাঁর আক্ষেপ, ‘ভেবেছিলাম প্রশংসা পাব। কিন্তু এখন তো দেখছি বড় বাড়িটাই কাল হল। লোকে এখন নানা প্রশ্ন তুলছে।’
পঞ্চায়েত প্রধানের সম্পত্তির যা হিসাব পাওয়া যায়, তার থেকে উঠে এসেছে, শেখ সোহরাব হোসেনের ১২ বিঘা জমি, তিনটি মিনি ডিপ টিউবওয়েল, একটি ট্রাক্টর, দুটি মোটরসাইকেল, একটি পাকা দোকানঘর, একটি গাড়ি রয়েছে। সেইসঙ্গে তিন তলা ঝাঁ চকচকে নীল সাদা রঙের বাড়ি। শুধু তাই নয়, বর্তমান স্ত্রীর জন্য একটি বাড়ি বানাচ্ছেন। এই সবের মধ্যে আমফানের ঝড়ে পড়ে যাওয়া তিনশোটি গাছ বেআইনিভাবে বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে পঞ্চায়েত প্রধান সোহরাবের বিরুদ্ধে। পঞ্চায়েত সদস্যদের একাংশ অভিযোগ দায়ের করেছেন। এছাড়াও নানা অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে তাঁর বিরুদ্ধে।
তবে পঞ্চায়েত প্রধানের অবশ্য বক্তব্য, ‘পরিশ্রম করে তিল তিল করে গড়ে তুলেছেন এই সম্পত্তি। দর্জির কাজ করার পাশাপাশি জমির দালালি করে, বিভিন্ন মামলায় সহয়তা করে টাকা কামিয়েছেন। বিভিন্ন সময়ে জেল খেটেছেন। ২৫ থেকে ৩০টি মামলায় আমাকে জড়ানো হয়েছিল। এখন কিছু দেওয়ানি মামলা পড়ে রয়েছে নিষ্পত্তি হবে।’ তাঁর মতে, তিনি কোনও অন্যায় কাজ করেননি। দলের তরফে যে শোকজ নোটিশ পাঠানো হয়েছিল, তার উত্তর দিয়ে দিয়েছেন সোহরাব। দলের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছেন।