Panchayat vote: মনোনয়নে অনেক এগিয়ে বিজেপি, সবার শেষে শাসক তৃণমূল, ছাপিয়ে গেল সিপিএম, কংগ্রেসও
তৃণমূল ও বিজেপি–র পতাকা। ফাইল ছবি
তৃণমূল ও বিজেপি–র পতাকা। ফাইল ছবি
মনোনয়নের দ্বিতীয় দিন ছিল শনিবার। দিনটা আগাগোড়া ঘটনাবহুল। মুর্শিদাবাদে পিস্তল সহ ধরা পড়েছে তৃণমূল নেতা। সন্ধ্যায় দিনহাটায় হামলায় জখম তৃণমূল কর্মী। সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলে দফায় দফায় সরব বিরোধী বিজেপি। তবে বাস্তব ছবিটা ঠিক কী?
বিজেপি ও বামফ্রন্ট কি আদৌ মনোনয়ন জমা দিতে পারল? তবে এনিয়ে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ছবি সামনে এসেছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে দুদিনের হিসাবে মনোনয়ে এগিয়ে রয়েছে বিজেপি। এরপর কীভাবে বিরোধীরা বলবেন যে মনোনয়ন জমা দিতে পারছেন না তাঁরা?
শনিবার পর্যন্ত জমা পড়া মনোনয়নের হিসাবে দেখা যাচ্ছে, বিজেপি গ্রাম পঞ্চায়েতে দিয়েছে ৩৬৩৮, তৃণমূল দিয়েছে ৫২২টি। পঞ্চায়েত সমিতির আসনে বিজেপি দিয়েছে ৫১৭টি, তৃণমূল দিয়েছে ১১০টি, । জেলা পরিষদের আসনে বিজেপি দিয়েছে ৪১টি,তৃণমূল ১টিতে মনোনয়ন জমা দিয়েছে। অন্যদিকে সিপিএম জেলা পরিষদের ৯৪টি, পঞ্চায়েত সমিতিতে ৫১৭টি ও গ্রাম পঞ্চায়েতে ৩৬৩৮ টি মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছে।
পরিসংখ্যান বলছে শুক্র ও শনি মিলিয়ে সব মিলিয়ে মনোনয়ন পত্র জমা পড়েছে ১১,১২৮টি। তার মধ্য়েই বিজেপি জমা দিয়েছে ৪,৯০৩টি। সিপিএম মনোনয়ন জমা দিয়েছে ৪২৪৯টি। কংগ্রেস দিয়েছে ৭১৭ টি। আর শাসকদল তৃণমূল জমা দিতে পেরেছে মাত্র ৬৩৩টি।
তবে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে,বিজেপি কিছু জায়গায় ভালোই মনোনয়ন জমা করেছে। সেক্ষেত্রে অন্তত এই দুদিনের পরিসংখ্যান অনুসারে বিরোধীরা মারাত্মক বাধা পেয়েছে মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে এমন অভিযোগ বাস্তবে টিকছে না। তবে এবার প্রশ্ন, বাকি মনোনয়ন কি জমা দিতে পারবেন বিরোধীরা? নাকি পরের দিনগুলিতে ঝাঁপিয়ে পড়বে তৃণমূল?
সূত্রের খবর, ১৫ জুন পর্যন্ত এই মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া হবে। সব মিলিয়ে রাজ্যে গ্রাম পঞ্চায়েতের সংখ্যা ৩৩১৭টি, পঞ্চায়েত সমিতি ৩৪১টি ও জেলা পরিষদের সংখ্যা ২০টি। তবে দুদিনের পরিসংখ্য়ানে একেবারে তৃণমূলকে বলে বলে গোল দিল বিজেপি।
কিন্তু রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, আসলে সোমবার থেকে মনোনয়ন জমা দেওয়ার মূল প্রক্রিয়াটি শুরু করবে তৃণমূল। আর শাসকদল তৃণমূল যখন শুরু করবে তখন বিরোধীরা কতটা জমা দিতে পারবে সেটাই প্রশ্নের। এরপর রয়েছে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের বিষয়। ২০১৮ সালে বিরোধীদের জোর করে মনোনয়ন প্রত্যাহার করানো হয়েছিল বহু ক্ষেত্রে। সেক্ষেত্রে বহু ক্ষেত্রে লুকিয়ে থাকতেন বিরোধী প্রার্থীদের একাংশ। সেক্ষেত্রে শেষ পর্যন্ত কতগুলি আসন এবার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হতে পারে শাসকদল তৃণমূল, সেটাই এখন দেখার। ভোট পর্যন্ত প্রার্থী ধরে রাখাটাও বড় চ্যালেঞ্জ বিরোধীদের কাছে। তবে ইতিমধ্য়েই রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস বার্তা দিয়েছেন, ভোট নিয়ে কোনও রকমের গন্ডগোল বরদাস্ত করা হবে না।