প্রধান আর উপপ্রধানের মধ্যে মতবিরোধের জেরে কার্যত লাটে উঠেছিল পঞ্চায়েতের পরিষেবা। পদত্যাগও করেছিলেন পঞ্চায়েত প্রধান। অবশেষে সোমবার উপপ্রধানকে যাবতীয় দায়িত্ব বুঝিয়ে দিলেন পদত্যাগী মহিলা প্রধান। স্বস্তি পেলেন দলীয় নেতৃত্বের পাশাপাশি স্থানীয় বাসিন্দারাও। পূর্ব বর্ধমানের বৈকুণ্ঠপুর ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘটনা। পদত্যাগী প্রধান শর্মিলা মালিক এদিন উপপ্রধান গোপাল বিশ্বাসকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেন। শর্মিলা মালিক জানিয়েছেন, ব্যক্তিগত কারণে পদত্যাগ করেছি। এনিয়ে অন্য কোনও মন্তব্য করব না। তবে প্রধানের দায়িত্ব পাওয়ার পর গোপাল বিশ্বাস বলেন, দায়িত্ব পেয়ে আমি অত্যন্ত খুশি। কীভাবে উন্নয়নকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হয় তার চেষ্টা করব। কোন প্রকল্পের কাজ বাকি রয়েছে, কত টাকা পড়ে রয়েছে সবটাই দেখা হচ্ছে।
দল সূত্রে খবর, দীর্ঘ কয়েকমাস ধরেই তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে চরম দ্বন্দ্ব মাথাচাড়া দিয়েছিল। প্রধানের পদত্যাগের দাবিতে সরব হয়েছিলেন পঞ্চায়েতের ৮জন সদস্য। তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থাও আনতে চেয়েছিলেন তাঁরা। তবে বাকি ৪জন পঞ্চায়েত সদস্য প্রধানের পক্ষে ছিলেন। এদিকে প্রধানকে ভয় দেখানো হচ্ছে এই অভিযোগ তুলে থানাতেও নালিশ জানিয়েছিলেন শর্মিলা মালিক। তবে গত ২৭শে অগস্ট কার্যত দলের চাপেই পদ থেকে ইস্তফা দিতে বাধ্য হন। তবে তিনি ব্যক্তিগত কারণের কথাই উল্লেখ করেছিলেন। এদিন একেবারে পঞ্চায়েতে এসে যাবতীয় দায়িত্ব তিনি উপপ্রধানকে বুঝিয়ে দেন। এদিন পঞ্চায়েতের সদস্যরা উভয়কেই ফুলের তোড়া দিয়ে অভিনন্দন জানান।