কয়েকদিন আগেই দেখা গিয়েছিল প্রকাশ্যে বিধায়ক হুমায়ুন কবীর সরাসরি হুমকি দিচ্ছেন বিধায়ক রবিউল আলম চৌধুরীকে। তার জন্য তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে হুমায়ুনকে শোকজ করা হয়েছিল। পাঙ্গা নিলে হাড়গোর এক করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন হুমায়ুন। এবার আরও চাপ বাড়ানো হল তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক হুমায়ুন কবিরের বিরুদ্ধে। এমনকী অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে দলের সাত পঞ্চায়েত প্রধান নালিশ ঠুকলেন তাঁর বিরুদ্ধে।
জানা গিয়েছে, ভরতপুর ২ নম্বর ব্লকের সাতটি গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক হুমায়ুন কবীরের বিরুদ্ধে সাংসদ তথা তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে লিখিত নালিশ জানিয়েছেন। যা নিয়ে দলের অন্দরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। তাঁরা নালিশ করেছেন, বিধায়ক হুমায়ুন কবির তাঁর কিছু সমাজবিরোধী সাঙ্গপাঙ্গদের দিয়ে পঞ্চায়েতের উন্নয়নের কাজে বাধা দিচ্ছেন। ঠিকাদারদের কাছ থেকে ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ ‘কাটমানি’ নেন হুমায়ুন! এই বিস্ফোরক অভিযোগ লিখিত আকারে জমা পড়েছে বিধায়কের বিরুদ্ধে।
এই অভিযোগের কথা সামনে আসতেই তেলেবেগুনে জ্বলে উঠেছেন হুমায়ুন কবীর। তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে এই সাত প্রধানের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধে দলীয় পঞ্চায়েত প্রধানদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে অস্বস্তি বেড়েছে ঘাসফুল শিবিরের। এখন দেখার অভিষেক কী পদক্ষেপ করেন।
উল্লেখ্য, ২০১১ সালে জোট প্রার্থী হিসাবে জয়লাভ করেছিলেন হুমায়ুন। তৃণমূল কংগ্রেস–বিজেপি–কংগ্রেস, বারবার দলবদল করেছেন তিনি। এবার একুশের নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিটে বিধায়ক হন। ভরতপুর বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপির ইমনকল্যাণ মুখোপাধ্যায়কে ৪৩ হাজার ভোটে পরাজিত করেন তিনি। তবে তাঁকে ঘিরে গোষ্ঠীকোন্দল অব্যাহত তৃণমূল কংগ্রেসে।